সাঈদ ইবনে হানিফ, বাঘারপাড়া : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ৯নং জামদিয়া ইউনিয়নের প্রানকেন্দ্র ভিটাবল্লা বাজার এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে দাড়িয়ে আছে কয়েকটি বড় বড় মরা রেন্ট্রী গাছ।

দীর্ঘ দিন যাবত সড়কের পাশে এসব মরা গুলো দাঁড়িয়ে থাকায় মাঝে মধ্যে ছোট ছোট ডালপালা ভেঙে পড়ছে সড়কের উপর। সম্প্রতি বর্ষা মৌসুম হওয়ায় গাছ গুলো থেকে বড় ডালপালা ভেঙে পড়ার আশংখা করছেন পথচারীসহ এলাকাবাসী। ফলে যে কোনসময় বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন অনেকে। সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা কালনা মহাসড়কের (ভাংগুড়া-ধলগারাস্তা-ভিটাবল্লা-বসুন্দিয়া) অংশ দিয়ে অতিদ্রুতগামী শতশত যানবাহন চলাচল করে। শুধু যানবাহন চলাচল নয়, সাধারণ পথচারীদের চলাচলও একেবারে কম নয়। তাছাড়া ভিটাবল্লা বাজার এলাকায় প্রতিনিয়ত শত শত লোকের সমাগম হয়। পাশেই রয়েছে একটা খেলার মাঠ। এই বাজার এলাকায় সড়কের পাশেই দুটি মরা গাছ দাড়িয়ে আছে দীর্ঘ দিন।

এই এলাকার সচেতন ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফুটবল মাঠে প্রতিদিন সকাল বিকাল কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খেলায় মসগুল থাকে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় কোন সময় গাছের ডালপালা ভেঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জামদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ আরিফুল ইসলাম তিববতের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, এই মরা গাছের নিচে ৫৩ নং ভিটাবল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত এবং কয়েক মিটার দুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও অনতিদূরে আলিম মাদ্রাসা অবস্থিত এবং দুশ, গজ দুরে দুটি হাফেজী মাদ্রাসা ও এতিমখানা ছাড়াও একটি প্রাথমিক শিক্ষন কেন্দ্র আছে। এত গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সকাল ৯টা থেকে শুরু করে সরকারি ছুটির দিন ব্যাতিত বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলাচল ও ঘোরাফেরা করে। এসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগন ও ইতিমধ্যে একধরনের আশঙ্কা ব্যাক্ত করেছেন।