সানজিদা আক্তার সান্তনা : যশোরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাঘারপাড়ার আমজাদ মোল্লা সহ ৪ যুদ্ধাপরাধী আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তাপস কান্তি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়। রবিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। ১৬৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। দুই-তৃতীয়াংশ পাঠ করেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার।

রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। রায় ঘোষণাকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি মো. আমজাদ মোল্লা আসামির কাঠগড়ায় বসা ছিলেন।

এর আগে গত ২১ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ মোল্লা সহ চার আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করে দেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

গত ১১ মে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ মোল্লা সহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। আমজাদ মোল্লা ছাড়া মামলাটিতে অন্য আসামিরা হলেন মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস। এর মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আমজাদ মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। আর বাকি চারজন ছিলেন পলাতক। তবে পলাতকদের মধ্যে আসামি নওশের বিশ্বাস মারা গেছেন।

২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়, ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল তা শেষ হয়। যশোর জেলা প্রশাসকের দেওয়া রাজাকারদের তালিকায়ও আসামিদের নাম রয়েছে।