আব্দুল্লাহ আল-মামুন : সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১’এ বাঙালি জাতির স্বাধীনতা এবং ২০০৮ পরবর্তী সময়ের মাত্র সাড়ে ১৪ বছরে আওয়ামীলীগের সংগঠন এদেশের মানুষের সকল চাওয়া পাওয়া পূরণ করেছে। এর মাঝে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য অধিকাংশ সংগঠন বাঙালির স্বাধীনতায় বাঁধা থেকে শুরু করে নারীর চরিত্র হরণ ও এদেশের মানুষের শোষণ করে খেয়েছে। দেশকে দিয়েছে বারবার পিছিয়ে। তারা বাংলাদেশের মানুষকে কখনও আপন ভাবতে পারেনি। তাইতো তারা যতবার এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে ততবারই জনগণের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিভিন্নভাবে অত্যাচার, লাঞ্চিতসহ নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে।
শুক্রবার বিকেল ৩টার সময় বেনাপোলের ছোটআঁচড়া মোড়ে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৪-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল প্রতিপাদ্য ছিলো- “শত সংগ্রামে অজস্র গৌরবে” স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আওয়ামীলীগের ৭৪-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন।
শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলোয়াত করেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা। পরে, আলোচনার শুরুতে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নেওয়া আওয়ামীলীগের প্রবীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন শেখ আফিল উদ্দিন এমপি। শেষে উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ৭৪ পাউন্ডের কেক কেটে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন।
এসময় সংসদ শেখ আফিল উদ্দিন তার বক্তব্যে আরও বলেন, ২০০১ পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় আসলো, তখন তারা আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের সাথে একযোগে শার্শা উপজেলাবাসীর উপর খুবই অত্যাচার করেছিলো। যার বর্ণণা দিতে আজও শরীরের লোম শিহরিত হয়। সেসময়ে বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচার-নির্যাতন আর শেখ আফিল উদ্দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজ শার্শা উপজেলার ঘরে ঘরে আওয়ামীলীগের দূর্গ গড়ে উঠেছে। এসময় তিনি আলোচনা সভার বিশাল জনসভায় উপস্থিতিদের শপথ করান। বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা। আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত না করা পর্যন্ত আমরা কেহ ঘরে ফিরে যাব না। এসাথে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস সম্বলিত বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচনে প্রথম নৌকা প্রতীকের আগমণকে স্বাগত জানান। বলেন, ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত পৌরসভার নির্বাচনে সকলের ভোটে নৌকা প্রতীককেই নির্বাচিত করতেই হবে। এসাথে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে এখন থেকেই সকলকে মাঠে থাকতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ মিন্টু, কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জুমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারণ সম্পাদক সোয়ারাব হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদারসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আলহাজ¦ নাসির উদ্দিনসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।