আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : গতকালও জমজমাট বেচাকেনা আর খরিদদার এর কোলাহলে মুখরিত ছিলো হোটেলটি। রাত ১২ টায় বন্ধ করে সকালে খুলতে এসে দোকান মালিক দেখলেন দোকানের সামনে ইটের পাহাড়। দোকান মালিকের অভিযোগ জায়গার মালিক দোকান থেকে উচ্ছেদ করতেই এই কাজ করেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১নং গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের ছুটিপুর বাজারে।

রাতের আধারে ছুটিপুর জামতলা মোড়ে শ্যামলী মুসলিম হোটেল নামের একটি মিষ্টির দোকানের সামনে ইটের পাহাড় দাড় করিয়ে দোকান খোলার সমস্ত পথ বন্ধ করে রেখেছে জমির মালিক পক্ষ।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বিগত প্রায় ৩০ বছর পূর্ব হতে গুলবাগপুর গ্রামের মৃত আওয়াল হোসেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি ছুটিপুর গ্রামের মৃত আরাতন মন্ডলের ছেলে আইয়ুব হোসেন ও কোহিনূর হোসেনের নিকট থেকে মৌখিক ভাবে কিছুটা জমি ভাড়া নিয়ে নিজ খরচে স্থাপনা নির্মাণ করে শ্যামলী মুসলিম হোটেল চালু করেন। গত কয়েকমাস ধরে জমির মালিকেরা বিল্লাল হোসেনকে জায়গা খালি করে দিতে চাপ দিয়ে আসছিলো। এটা নিয়ে বাজার কমিটির মধ্যস্থতায় কয়েকবার সালিশ হয়েছে। সর্বশেষ রবিবার দিবাগত রাতে হোটেল বন্ধ করে বাড়ি চলে যাওয়ার পর আয়ুব-কোহিনুর গং রাতের আঁধারে হোটেলের সামনে ইটের গাদা দিয়ে প্রবেশ পথের সবটা বন্ধ করে দিয়েছে।

হোটেল মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, দোকানের মধ্যে দুধ, ছানা, দই সহ কয়েক মন মিষ্টি তৈরি করা রয়েছে। তাছাড়া মিষ্টি তৈরির কাচামাল আছে লাখ দুই টাকার। ৩০ বছর ব্যবসা করছি। অনেকের কাছে পাওনা টাকাও বকেয়া রয়েছে। এই অবস্থায় দোকান কেড়ে নিলে আমাকে পথের ভিখারি হয়ে যেতে হবে।

জায়গার মালিক কোহিনূর হোসেন বলেন, তাকে অনেক আগে ঘর ছেড়ে দিতে বলা হলেও ছাড়েনি। অবশেষে বাজার কমিটির সবার সাথে কথা বলে হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ছুটিপুর বাজার কমিটির সভাপতি হায়দার আলী বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছিলাম। বিল্লালকে ৩০ জৈষ্ঠ্য পর্যন্ত সময় দেওয়া ছিলো। দোকানের সামনে ইট রাখার বিষয়টি শুনেছি। আমি জমির মালিককে অনুরোধ করবো আরও কিছুদিন সময় দেওয়ার জন্য।

গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান ঝন্টু বলেন, জমির মালিককে আমরা সালিশি বৈঠকে আরও ৬ মাস সময় দিতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ রাখেনি।