আনোয়ার হোসেন হোসেন। প্রতিনিধিঃ যশোরে মাদক নিয়ন্ত্রণে যৌথভাবে কাজ করবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের সমন্বয়ে গঠিত টিম। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পরিচালিত হবে বিশেষ কর্মসূচি। বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো বন্ধে থাকবে পুলিশের বিশেষ তদারকি। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বাড়ানো হবে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা। রোববার যশোর জেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।

সভায় বলা হয়, সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি স্পিড পরিমাপক মেশিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হবে মোটরযানের গতি এবং সড়ক আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। অচল সিসি ক্যামেরা সচল করা হবে।

আইন শৃংখলা পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শাহীন।

সভায় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, যশোরে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হবে। এজন্য সড়ক যানজটমুক্ত রাখা ও যান চালাচলের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিপদজনক স্পটে সরেজমিন গিয়ে অভিযান চালাবেন।

পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, আইন প্রয়োগের পাশাপাশি অপরাধ দমনে সচেতনতামূলক প্রচারণা দরকার। সবাইকে সচেতন করতে পারলে অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। রাতে বিভিন্ন স্থানে জুয়া খেলাসহ নানা অপকর্ম চলে। রাত দশটার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না থাকার আহবান জানান তিনি।

সভায় বক্তব্য রাখেন বিজিবি সহঅধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সলিমুদ্দজা, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইসহাক, বিআরটিএ’র যশোরের সহকারী পরিচালক এস এম মাহফুজুর রহমান, বাজার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, প্রবীণ শিক্ষাবিদ মশিউল আজম, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কষ্ণ মল্লিক, প্রভাষক মিজানুর রহমান, যশোর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সন্তোষ দত্ত প্রমুখ।