খুলনা অফিস : দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত থেকে জানমালের নিরাপত্তায় খুলনায় প্রস্তুত করা হচ্ছে ৪০৯টি সাইক্লোন শেল্টার। এসব সাইক্লোন শেল্টারে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।

এরইমধ্যে উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। বুধবার (১০ মে) কয়েকটি উপজেলাতে প্রস্তুতিসভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নিতে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুল করিম সই করা এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পুনর্বাসন কর্মকর্তা করিম বলেন, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। বিপদ সংকেত জারি হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

মোখা মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত হচ্ছে ৪০৯ সাইক্লোন শেল্টার

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ বলেন, বর্তমানে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিপথ রয়েছে, তা পরিবর্তন না হলে আপাতত ঘূর্ণিঝড় খুলনা উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। তবে ঝড়ের প্রভাবে হালকা বাতাস ও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ১৩ মে থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য জেলার ৪০৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। এসব সাইক্লোন শেল্টারে মোট ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।

তিনি বলেন, সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।