স্টাফ রিপোর্টারঃ আন্তর্জাতিক সিমান্ত বেনাপোল চেকপোস্টে পর্যাপ্ত যাত্রী সেবা না থাকা ও বহিরাগত দালালদের অত্যাচারে পাসপোর্ট যাত্রীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে।

জানা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের। এছাড়া পাসপোর্ট দালালদের দৌরাত্ম্যে খোয়াতে হচ্ছে টাকা ডলারসহ বিভিন্ন মালামাল। এরপর আছে ভূয়া ভ্রমনকর। এর মাধ্যমে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে আশানুরূপ রাজস্ব আয় থেকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এদিকে কোন নজর নেই।

এসব ব্যবস্থাপনার সুযোগ নিয়ে একশ্রেণির ভিআইপি পাসপোর্ট দালালরা যাত্রীদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। পাসপোর্টধারী যাত্রীদের বিনা চেকে অতি দ্রুত পারাপারের কথা বলে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের একশ্রেণির অসাধু কর্মচারী/কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসব কাজ করছে।

সম্প্রতি বেনাপোল চেকপোস্টকে দালালমুক্ত ঘোষণা দিলেও কিছুদিন পর আবারো যা-তা।

তবে যাত্রী সেবা নিরাপত্তা কোনোটাই বাড়েনি বেনাপোল বন্দরে। ছাউনি না থাকায় রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যাত্রীদের সড়কেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।

এক পাসপোর্টধারী যাত্রী বলেন, পদ্মাসেতুর কল্যাণে ঢাকা থেকে আমরা এখানে বেশ দ্রুত সময়ে চলে আসতে পেরেছি। আমার আসতে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা লেগেছে। কিন্তু এখানে যে অবস্থা। এখানে যে অবস্থা তাতে মনে হয় একশো গজ পথ পেরুতেই ৪/৫ ঘন্টা লেগে যাবে।

রাজধানী থেকে আগে কলকাতার দূরুত্ব ছিল ৩১৫ কিলোমিটার। বর্তমানে পদ্মা এবং মধুমতি সেতু চালু হওয়ায় সেই দূরত্ব কমিয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২৪৫ কিলোমিটারে। যার ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাওয়া-আসার হারও বেড়েছে অনেকগুন।

এদিকে বন্দরে নিরাপত্তা কর্মী থাকার পরও দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং দালালদের সঙ্গে আতাত সখ্যতার অভিযোগ উঠেছে। দালালদের খপ্পরে পড়ে যাত্রীদের প্রতিনিয়ত হয়রানি হতে হয়। এমনটাই অভিযোগ করেন কয়েক জন পাসপোর্টধারী যাত্রী। তারা বলেন, ‘অনেকেই দালালদের টাকা দিয়ে লাইন না মেনে আগে চলে যাচ্ছে। আর যারা এখানে লাইন মেনে দাঁড়িয়ে আছে, তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।

যদিও সকল সমস্যার দ্রুতই সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বার বার যাত্রীদের সতর্ক করছি যে তারা যেন দালালদের কাছে নিজের পাসপোর্ট না দেন।’

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ১৬ লাখ পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। এতে করে সরকার ভ্রমণ খাতে রাজস্ব পায় প্রায় একশত কোটি টাকা।