নিজস্ব প্রতিবেদক : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৯ বছর বয়সী এক কলেজছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে প্রেমিক তিলক ওরফে শুভ (৩০)। পরে ওই কলেজছাত্রীকে ভারতে পাচার করে সে।

তিলক রায় উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকড়ি গ্রামের ধনঞ্জয় রায়ের ছেলে। ভারতের শিলিগুড়ি এলাকার এক বাসায় বন্দী অবস্থায় নিজেকে উদ্ধারের আর্তি জানিয়ে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

ভুক্তভোগীর বড়ভাই বলেন, আমার বোনের সঙ্গে তিলক ওরফে শুভর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বোনকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায় শুভ। সেখানে তারা বিয়ে করে। বিয়ের পরে আমার বোন জানতে পারে তিলক ওরফে শুভ হিন্দু। এরপর আর তাদের দেখা পাওয়া যায়নি।

এরপর বোনকে না পেয়ে তাকে উদ্ধারে ফেব্রুয়ারি মাসে তিলক, তার বাবা ধনঞ্জয়, তার মামা গোপাল ও দুই বন্ধুর নামে হাতীবান্ধা থানায় এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বড়ভাই। তারপরেও তাদের কোনো খোঁজ-খবর পাননি তারা।

এরপর একদিন ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী তার বড়ভাইয়ের মোবাইল ফোনে নির্যাতনের কিছু ভিডিও ফুটেজ পাঠায়। সেই ফুটেজ দেখে তার ভাই আরেকজনকে সাথে নিয়ে চলতি মাসের ৪ তারিখ ভারতের শিলিগুড়ি এলাকায় গিয়ে পুলিশের সাহায্য নেন। ৫ তারিখ পুলিশ শিলিগুড়ি এলাকার এক বাসা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারসহ তিলককে আটক করে এনজেপি থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে তারা থানা হেফাজতে আছে বলে তার বড়ভাই জানান।