আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঝিকরগাছায় ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে অনি রায়ের আত্মহত্যার ঘটনায় ২জন এজাহার ভুক্তসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং-২৪, তাং ২৯/০৩/২০২৩ ইং। আসামীরা হলো ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত-মুরাদ আলীর ছেলে মেহেদী হাসান তামিম (১৬) ও ঝিকরগাছা হাসপাতাল মোড়ের বাসিন্দা জামাল উদ্দিনের ছেলে সাকিব উদ্দিন (১৬)। তারা দূজনই ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের ১০ম শ্রেনির শিক্ষার্থী। ইতিমধ্যে ইভটিজিংয়ের সাথে জড়িত ও এজাহারভুক্ত আসামী মেহেদী হাসান তামিমকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তবে অনি রায় আত্মহত্যার ঘটনার পর থেকে অপর আসামী সাকিব উদ্দিন পালাতক রয়েছে।

মামলার বাদি অনির মা কনিকা রায় উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে অনি রায় গত ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে কোচিং শেষ করে ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের গেটের উত্তর-পূর্ব কোণে হাইস্কুলের নির্মাণাধীন দোকানের সামনে পৌছাইলে উক্ত আসামীরা তার মেয়েকে দাড়াতে বলে। কিন্তু অনি রায় না দাড়ালে আটককৃত আসামী মেহেদী হাসান তামীম তার হাত ধরে টান দেয়। এসময় ইভটিজিংকারিরা তার মেয়েকে বিভিন্ন রকম কু-রুচিপূর্ণ অশ্লীল ও সম্ভ্রম হানিমুলক কথাবার্তা বলে। যা অনি রায় এর বান্ধবী লামিয়া ইয়াসমিন সেতু, ওরিশা বিনতে কবীর ও সৈয়দ সুমাইয়া সিমরান অবগত। প্রকাশ্য স্থানে আসামীদের উক্ত কার্যকালাপ ও আচারণে অনি রায় কান্নাকাটি করতে করতে বাড়িতে যায়। এসময় অনির মা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলে সে কোন কিছু না বলে নিজ ঘরে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষন পর মেয়েকে ডাকাডাকি করলেও কোন সাড়া না মেলায় ছেলে শুভম রায় অর্ঘ্যকে ডাক দেয়। অর্ঘ্য বাড়ীর বাইরের দেয়ালের সানসেটের উপর উঠিয়া ভেন্টিলেটর দিয়ে দেখতে পায় তার বোন মায়ের শাড়ি দিয়া সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়া ঝুলে আছে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে ঘরের দরজা ভেঙ্গে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যু ঘোষনা করেন।

অনি রায়ের আত্মহত্যার ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছে তার ভাই শুভম রায় অর্ঘ্যসহ স্থানীয় এলাকাবাসি। জানতে চাইলে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন, অনি রায়ের ইভটিজিংয়ের সাথে জড়িত ও মামলার আসামীদের দ্রুতসময়ের মধ্যে আটকের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।