খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ মার্চ ২৭, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2429 বার
আব্দুল্লাহ আল-মামুন : সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর নাম নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো, জয়বাংলা নিষিদ্ধ হয়েছিলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের নিধনের চেষ্টা করা হয়েছিলো‘। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এদনি ১১টায় শার্শা উপজেলা পরষিদের অডিটোরিয়ােমে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল’র সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তেব্য তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন , মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে যে মুক্তির পথে যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেই পথকে রুদ্ধ করতে আবারও পাকিস্তানে ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। সশস্ত্র বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিলো, সরিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছিল। যে নারীদের বীরাঙ্গনা উপাধি দিয়ে বঙ্গবন্ধু পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন, সেই নারীদের পুনর্বাসনের সমস্ত কিছু কেড়ে নেয়া হয়েছিল। তাদেরকে আবার দুঃস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিলো।
সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা নিধন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিপুর্ণভাবে বিকৃত করে ফেলা হয়েছে, বাকশালকে একদলীয় শানসের অপবাদ দিয়ে বহুদলীয় শাসনের নামে দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করা হয়েছিলো।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান মধু, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর হোসেন, শার্শা থানা ইনচার্য আকিকুল ইসলাম, বেনাপোল থানা ইনচার্য কামাল ভূইয়া প্রমুখ।
এর আগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শার্শা সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে এক মনোজ্ঞ কুজকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা সহ পুলিশ, আনসার, ফায়ার ডিফেন্স সার্ভিস, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা এ কুজকাওয়াজে অংশ নেন।
এদিকে এদিন সকালে বেনাপোলের কাগজপুকুরের বধ্যভূমীতে পূস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন। এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক, সামাজিক বিশেষ ব্যক্তিবর্গ।