আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পারবাজার বহিলাপাড়া থেকে দিগন্ত ফাউন্ডেশন নামের এক এনজিও ৬ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছে। ৬ দিন আগে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তারা এই এনজিও এর অফিস খুলেছিল। বাড়ির মালিক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পুলিশ বলছে, কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি তবে এ ব্যাপারে ছায়া তদন্ত চলছে।

ঝিকরগাছা থানার পিছনে বহিলাপাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে জানান, জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী ২০ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুরের স্বরপ গ্রামের জুয়েল হোসেন (৩৪) তার বাসা ভাড়া নেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি মালিকপক্ষের সাথে জুয়েল ভাড়ার চূড়ান্ত চুক্তিনামা সম্পন্ন করবেন বলে বাড়িতে ওঠেন।

ম্যানেজার হিসেবে জুয়েল সহ ৩-৪ জন কর্মী দিগন্ত ফাউন্ডেশনের নামে মাঠ পর্যায় মানুষের নিকট লোন দেয়ার লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দেয়। এনজিওটি সদস্য চাঁদা হিসাবে জন প্রতি ৬০০ টাকা গ্রহণ করে। লোন দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতি ১ লাখ টাকায় ১০ হাজার টাকা জমা গ্রহণ করে। লোন দেয়ার পাশাপাশি প্রতারক এনজিও সদস্যরা লোন গ্রহীতার সন্তানদের লেখাপড়া সরঞ্জামও কিনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরই মধ্যে দিগন্ত ফাউন্ডেশন নামের এনজিওর প্রতারক চক্রটি ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য যোগাড় করে। প্রতারক চক্রটি এই ১৫-২০ সদস্যকে ২৮ ফেব্রুয়ারি লোন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে আসে।

দিগন্ত ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় নরসিংদী জেলার বেলা নগর। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর s 9898/c 25319/10/c 97204/11 বলে জানা গেছে।

এদিকে ঋণ প্রত্যাশীরা গত সোমবার এবং মঙ্গলবার ওই অফিসে এসে কাউকে না পেয়ে বাড়ির মালিক শহিদুল ইসলামকে বলেন, দিগন্ত ফাউন্ডেশনের লোকেরা তাদেরকে লোন দেয়ার নাম করে লাখ প্রতি ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। সদস্য চাঁদা হিসেবে ৬০০ টাকা নিয়েছে। লোন দেয়ার আগে তাদের সন্তানদেরকে কিছু বই কিনে দিয়েছে এই প্রতারক চক্র। বাড়ির মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, যে পরিমাণ সদস্যরা এসেছে তাদের কথা অনুযায়ী তারা ৬ লাখ টাকা সমিতিতে জমা দিয়েছেন লোন পাওয়ার আশায়।

বাড়ির মালিক শহিদুল ইসলাম আরও জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভাড়া নেয়া ঘর তালা খোলা অবস্থায় পড়ে ছিল। এ অবস্থা দেখে আমি ঝিকরগাছা থানায় ২৭ ফেব্রুয়ারি জিডিই (১৪৫০) করি। অথচ দিগন্ত ফাউন্ডেশন এনজিওর সাথে ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার আমার বাড়ি ভাড়া চুক্তিনামা সহ আমার টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা পালিয়ে গেল।

২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত জানান, মৌখিকভাবে ঘটনা জানতে পেরেছি। এজন্য ছায়া তদন্ত চলছে। লিখিত অভিযোগ জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।