মোঃ সাইদুল ইসলাম: শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প: প: কর্মকর্তা ডা: ইউসুফ আলীর ব্যবহৃত সরকারি মোটরসাইকেল চালানোর সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন রনি নামে এক পাবলিক ড্রাইভার।

রবিবার রাতে তিনি যশোর থেকে বেনাপোলে তার বাড়িতে ফিরছিলেন। প্রতিমধ্যে শার্শার শ্যামলাগাছী নামক স্থানে আসলে অপর দিক থেকে আসা অন্য একটি মোটরসাইকেলের সাথে তার সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনায় আহত রনি সহ ওই মোটরসাইকেলের অজ্ঞাত এক দম্পতি মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা প: প: কর্মকর্তা ডা: ইউসুফ আলীর ব্যবহারের জন্য মোটরসাইকেল সরকারি ভাবে প্রদান করা হয়। নিয়োগ দেওয়া হয় একজন সরকারি ড্রাইভার। কিন্তু সরকারি ড্রাইভারকে উপজেলা প: প: কর্মকর্তা ডাঃ ইউসুফ আলী সিভিল সার্জন অফিসে কাজে লাগিয়ে একজন পাবলিক ড্রাইভার রেখেছেন।

সরকারি জিপ গাড়ি সহ মোটরসাইকেলটিও রনি নামের এই পাবলিক ড্রাইভার দিয়ে ব্যবহার করেন এই কর্মকর্তা। প্রকৃতপক্ষে সরকারি ড্রাইভার থাকা স্বর্তেও পাবলিক ড্রাইভার দিয়ে সরকারি গাড়ি ব্যবহারের কোন এখতিয়ার আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন জন সাধারণের মাঝে।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, দীর্ঘ তিন বছর ধরে ডা: ইউসুফ আলী রনি নামের ওই ব্যক্তিকে পাবলিক ড্রাইভার হিসাবে কাজে রেখেছেন। মোটরসাইকেলটি সরকারি কোন কাজে ব্যবহার না হলেও সরকারি তেলে নিজের ইচ্ছেমত দিনের পর দিন অবৈধভাবে ব্যবহার করছে রনি।

নাভারণ হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দূর্ঘটনা কবলিত স্থান থেকে দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর সরকারি গাড়ি বলে জানা গেছে। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আহতদের রাতেই যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শার্শা উপজেলা প: প: কর্মকর্তা ডাঃ ইউসুফ আলী বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারী মোটরসাইকেলটি ড্রাইভার রনি রাতে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। রনি সরকারি ড্রাইভার কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি ভাবে যে ড্রাইভার আছে তাকে করোনাকালীন সময় থেকে যশোর সিভিল সার্জন অফিসে রাখা হয়েছে। রনিকে আমার পাবলিক ড্রাইভার হিসাবে কাজে রেখেছি।

এ বিষয়ে যশোর সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি জানান, সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে রাতেই শুনেছি। সরকারি গাড়ি পাবলিক ড্রাইভারের চালানোর কোন এখতিয়ার নেই। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।