সনতচক্রবর্ত্তী: ফরিদপুরে পিতা হত্যার দায়ে আনোয়ার হোসেন আরাফাত (২৮) নামে এক যুবককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে নিহতের প্রথম স্ত্রী রিজিয়া বেগম লিলি (৫২) ও ছোট ছেলে সাকিল ওরফে সামিকে (২৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর মালেক শেখ ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর রাতে নিজ বাড়িতে খুন হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই খালেক শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার সঙ্গে নিহতের প্রথম স্ত্রী ও দুই ছেলে জড়িত। পরে নিহতের বড় ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আরাফাত। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও ভাইয়ের সহযোগিতায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন আরাফাত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত নিহতের বড় ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আরাফাতকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত নিহতের প্রথম স্ত্রী রিজিয়া বেগম ওরফে লিলি এবং ছোট ছেলে সাকিল ওরফে সামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।