খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 5353 বার
সনতচক্রবর্ত্তী: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে রাস্তার পাশের সরকারি জায়গার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সরকার বিভাগের মালিকানাধীন প্রায় লক্ষাধিক টাকার শিশু গাছ বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের সূর্যোগ বাজারের পশ্চিম পাশের সহস্রাইল-কালীনগর সড়কের পাশ থেকে ৭/৮টি শিশু গাছ কেটে নিয়েছেন রূপাপাত ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মঞ্জুরুল ইসলাম। ৫/৬ দিন আগে গাছগুলো কেটে নেয়া হয়েছে। গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিক টাকা।
স্থানীয় কাটাগড় গ্রামের সানোয়ার হোসেন বলেন, ৫/৬ দিন আগে ইউপি সদস্য মঞ্জুরুল ও চৌকিদার সঞ্জিত গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেম্বার মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, পার্শ্ববর্তী একজনের ঘরের উপর একটি গাছ ছিল। যেকোনো সময় গাছটি ঘরের উপর ভেঙে পড়তে পারে বলে ঘরের মালিক কওসার মোল্যা আশঙ্কা প্রকাশ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়াকে জানান। চেয়ারম্যান বিষয়টি ইউএনওকে জানালে ইউএনও গাছটি কাটার অনুমতি দেন। চৌকিদার সঞ্জিত বলেন, চেয়ারম্যান ও ইউএনও গাছ কাটার অনুমতি দেয়ায় আমি মেম্বারের সাথে ছিলাম।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রূপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়া বলেন, একটি মরা গাছ যেটি একজনের ঘরের উপর ছিল দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সেটি কাটার জন্য অনুমতি চাইলে ইউএনও ওই একটি গাছই কাটার অনুমতি দেন। একটির অধিক গাছ কাটার কোন নির্দেশনা মেম্বারকে দেয়া হয়নি।
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের উপর যে গাছটি কাটার অনুমতি ইউএনও দিয়েছিলেন সে গাছটি রয়েই গেছে। অথচ ইউএনও-র একটি গাছ কাটার অনুমতিকে পুঁজি করে ওই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মঞ্জুরুল ইসলাম অন্য ৭/৮টি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।