আবু সাইদ, বাগআঁচড়া প্রতিনিধি : শার্শার পল্লী কায়বায় মাদকের হাট ও ক্রাইম জোন তালিকায় এ এলাকা। কয়েক যুগ ধরে এই এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে র‌্যাবের পাশাপাশি থানা পুলিশ ও বিজিবি মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযান করে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করলো নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়নি।

একাধিক সূত্র মতে জানা জায়, শার্শায় কায়বায় মাদক পরিচালনায় কাজ করছে এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা। এর মধ্যে অধিকাংশ মদতদাতার বসবাস পাড়ের কায়বা, রাড়ীপুকুর ও চালিতাবাড়ীয়া এলাকায়। ফলে শার্শার মাদক নির্মূল করতে প্রশাসনের চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।

মাদক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনিক মদদের জন্য সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতাদের ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের জায়গা দখল করে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের পদ-পদবি নিয়ে এলাকায় মাদকের রাজত্ব গড়ে তুলেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

সরেজমিন জানা যায়, শার্শার কায়বা বটতলা বাজার ও তার সংলগ্ন মাদ্রাসা অথ্যন্তরে গোপনে এবং প্রকাশ্যে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে। এই পয়েন্ট দুটিতে দিনে রাতে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, ভারতীয় চেলায় মদ, গাঁজাসহ নানান ধরনের মাদক।

সন্ধ্যার পর দেখা যায়, এই সকল এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাদের আস্থাশীল হতে বটতলা বাজারে এলাকায় জমায়েত হয়ে তাদের সঙ্গে ছবি তুলে স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার করে নিজেদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দাবি করে আসছেন। এ সময় এখানে বাইরে থেকে বাইরে থেকে আসা শত শত যুবকের আসতে দেখা যায়। স্থানীয় প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করতে হিমসিম খাচ্ছে। এদের মধ্যে স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক নেতাকে মাদকসহ গ্রেফতার ও করেছে বিভিন্ন সময়েআইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ১৫ বছর মাদক ব্যবসা করে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গিয়ে এখন মদত পাওয়ার জন্য সরকারদলীয় রাজনীতিতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। কায়বা ইউনিয়নের বিভন্ন এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে যুবলীগ নেতা, ছাত্রলীগ নেতা, প্রভাবশালী নেতার আস্থাভাজন ব্যক্তিরা কয়েক বছরে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে আসছেন। জনসভা এবং ঘরোয়া আলোচনাসভায়ও তিনি মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। তাকে বিতর্কিত করতে দলীয় কর্মী পরিচয়ে গোপনে মাদক ব্যবসায়ীদের মদত দিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন স্থানীয় পয্যায়ের নেতা।

এখানে সাগর, রায়হান ও অনিক নামের তিন মাদক ও হত্যা মামলার আসামী দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করলেও আইন শৃঙ্খলা বাহীনী তাদের টিকিটিও ছুতে পারছে না। কারন তাদের মদদ জোগাচ্ছে স্থানীয় পয্যায়ের নেতারা।

শার্শা থানা পুলিশের ওসি আতিকুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিদিনই আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছি।