আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : পোস্টমর্টেম করা লাশ পরিবহনের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হলো যশোরের ঝিকরগাছা থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন ভক্তের একান্ত প্রচেষ্টায়। আর এই কাজে সহযোগিতা করেছেন এলাকার ২৬ জন সহৃদয়বান ব্যক্তি। লাশ বহনের ভ্যান গাড়িটি চালানোর এবং রক্ষণাবেক্ষণ এর দায়িত্ব পেলো অসহায় জবেদ ফকির। তিনি লাশ পরিবহনের সময় বাদে এই ভ্যান চালিয়ে উপার্জন করে পরিবারের ভরণপোষণ করবেন।

বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারী) দুপুর ১২টায় থানা প্রাঙ্গণে প্রায় ৬০হাজার টাকা ব্যায়ে জনসাধারণের লাশ পরিবহনের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নত মানের ভ্যান গাড়ি ও ড্রেস তৈরী করে পুরন্দরপুর গ্রামের দবির মোড়লের ছেলে জবেদ ফকিরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

ঝিকরগাছা থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, গ্রামগঞ্জ থেকে কোনো মৃত ব্যক্তিকে থানায় বা পোস্টমর্টেমের জন্য আনতে হলে জরুরী ভিত্তিক একটা গাড়ির দরকার হয়।অনেক সময় দেখা যায় লাশ নিতে অনেক মানুষ ভয় পায়। যার জন্য আমার প্রচেষ্টা ও থানা এলাকার কিছু মহৎ মানুষের একান্ত সহযোগিতায় আজ আমরা সফল হয়েছি। এখন থেকে আমাদের লাশ পরিবহনের কোন সমস্যা থাকবে না। শুধুমাত্র চালককে অতিসামান্য পরিমাণ পারিশ্রমিক দিলেই হবে। এমন কাজ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন থানার এসআই (নিঃ) আব্দুর রহমান, সুব্রত কুমার কুন্ডু, এএসআই (নিঃ) মাসুদ রানা, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইমরানুর রশিদ, সদস্য এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মাস্টার আশরাফুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন চাঁদ, পৌর কাউন্সিলর আমিরুল ইসলাম রাজা, ইউনুছ আলী সহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে তিনি (ওসি) নিজের রেশনকে ঈদ উপহার হিসেবে দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। করোনা কালীন সময়ে ঝিকরগাছা বাজারে খুঁজে পাওয়া ২০জন ভিক্ষুকের মাঝে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিজের প্রাপ্য ৩ মাসের রেশন বিতরণ করেছিলেন।