আশরাফুজ্জামান বাবু, প্রতিনিধি, যশোর : যশোরের ঝিকরগাছার বামনালী গ্রামে হতদরিদ্র দিনমজুরের ৩ টি গরু চুরি হয়েছে। শনিবার ভোরে গোয়ালঘর থেকে চোরেরা দেড় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গরু তিনটি নিয়ে গেছে। এক মাস আগে তার একমাত্র পুত্র সন্তানকে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী বামনালী সায়েম পাড়ার শাহাজান মন্ডল (৫৮) জানান শনিবার ফজরের আজানের আগে গরুগুলো গোয়াল ঘরে দেখেছি। নামাজ আদায়ের পর গোয়াল থেকে গরু বের করতে গিয়ে দেখি গোয়ালঘরে একটি গরুও নেই। চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, খেয়ে না খেয়ে গরু ৩ টা বড় করেছি। চুরি হওয়া বাছুর সহ ১ টা দুধালো গাভী এবং অন্য ১ টা গাভীর মূল্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা হবে বলে তিনি জানান। শাহাজান মন্ডল একই গ্রামের মৃত হারেজ মন্ডলের ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করে অর্ধাহার অনাহারে কষ্টে সংসার চালান বলে জানিয়েছেন। 

গত ৩০ নভেম্বর শাহাজানের ৩ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের মধ্যে পুত্র রাহুলকে কে বা কারা হত্যা করে তার বাড়ির খাটের নীচে রেখেছিলো। সে রহস্য আজও উন্মোচন হয়নি। তবে অপরাধ বিশেষজ্ঞের ধারণা পূর্ব শক্রতার জেরে গরু চুরির সাথে সন্তান হত্যার যোগসূত্র থাকতে পারে। 

৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সামছুর রহমান জানান, ৩০ নভেম্বর শাহাজানের ছেলে রাহুলকে তার বাড়ির খাটের নীচে মৃত্যু অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তার গরু চুরির ঘটনাটি দুঃখজনক। 
 
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত জানান রাহুল হত্যার বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট এখনো আসেনি। রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রহস্য উদঘাটনে তৎপর রয়েছে। গরু চুরির কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্হা নেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বামনালি প্রাইমারীর ৫ম শ্রেণির ছাত্র রাহুলকে মৃত্যু অবস্থায় বাড়ীর খাটের নীচে পাওয়া গিয়েছিল। তখন থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছিল।