বাগআঁচড়া প্রতিনিধি : নৈশ প্রহরী ও সিসি ক্যামেরা থাকা সত্বেও যশোরের শার্শা উপজেলার সর্ববৃহৎ বাজার বাগআঁচড়ায় ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সার্টার কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

তাৎক্ষণিক ভাবে হিসাব নিরুপণ করা সম্ভব না হলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকাসহ দুই লাখ টাকার অধিক মালামাল নিয়ে যাওয়ার দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।

বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক(তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, শনিবার মধ্য রাতের কোন এক সময় বাগআঁচড়ার আখিঁ টাওয়ার মার্কেটে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে রোববার সকালে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারি উপ পরিদর্শক ফিরোজ আহমদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

জানা যায়, বাগআঁচড়ার আখিঁ টাওয়ার মার্কেটে অবস্থিত জুলফিকার আলীর (ভুট্রো) আল্লার দান ব্যাগ বিতান, সফিকুল ইসলামের সিমা ষ্টোর, আবু সাঈদের শিশু চেম্বার, নাজমা খাতুনের প্রান কসমেটিক ও ফারুক হোসেনের সিমু কসমেটিক এই ৫টি দোকানের সার্টার কেটে চোর চক্র দোকানে প্রবেশ করে মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আশপাশের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আল্লার দান ব্যাগ বিতানের মালিক জুলফিকার আলী ভুট্রো জানান, রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যাই। সকালে দোকান খুলতেই দেখি সার্টার কাটা। পরে দেখি আরো ৪টি দোকানের সার্টার কাটা। এসময় চোর চক্র দোকানে রক্ষিত নগদ অর্থসহ মালামাল নিয়ে যায়।

মার্কেট মালিক বাবলু জানান, একই রাতে এক সাথে ৫টি দোকানে চুরির ঘটনা নজিরবিহীন। এর সঙ্গে বড় কোনো চক্রের পাশাপাশি এলাকার কেউ জড়িত থাকতেও পারে। তিনি বলেন, রাতে ওই সড়কে পুলিশি টহল নিয়মিত থাকলে চোর চক্র এত বড় ঘটনা ঘটানোর সাহস পেতো না।

বাগআঁচড়া বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক জানান,আমি ঢাকায় আছি। বিষয়টি শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি।

বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা অভিযোগ দিতে বলেছি। এখনো অভিযোগ পায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরচক্রকে গ্রেফতারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।