মোঃ সাইদুল ইসলাম : বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের অনন্য কৃতিত্ব ও কাঙ্খিত সেবা পেয়ে খুশিতে পঞ্চমুখ হয়েছেন রাজশাহী ও বরিশাল জেলার দুই পাসপোর্ট যাত্রী। পোর্ট থানা পুলিশসহ দেশের সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন তারা।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গতকাল বিকালে হার্টের চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার সময় বরিশাল জেলার মালিকান্দা গ্রামের মোঃ রিয়াজ পাসপোর্টসহ আমেরিকান ৪শ ডলার হারিয়ে ফেলে।

বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশের চৌকস দল সিসিটিভি ফুটেজ এবং সোর্সের মাধ্যমে তার হারিয়ে যাওয়া টাকা মালামাল উদ্ধার করে দেয়।
উদ্ধারকৃত মালামাল ও নগদ টাকা পেয়ে আবেগাপ্লুতে কেঁদে ফেলেন রিয়াজ।

এসময় থানা পুলিশের ব্যাপক প্রশংসা করে তিনি বলেন, এতো দ্রুত তার মালপত্র ফিরে পাবে কখনোই আশা করিনি। মোঃ রিয়াজ বরিশাল জেলার মালিকান্দা গ্রামের নুরে আলমের ছেলে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার বেলা ১১ টার সয়ম রাজশাহী জেলার আবুল ফজল ভারত থেকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন এসে কাজ শেষ করার পরে তার কাছে থাকা ব্যাগটি হারিয়ে যায়। ব্যাগের মধ্যে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, পাসপোর্ট, এটিএম কার্ড ও অন্যান্য জরুরী কাগজপত্র ছিলো। তিনি ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছিলেন।

এ ঘটনায়ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূইয়া তাৎক্ষণিকভাবে একই প্রক্রিয়ায় থানার চৌকস টিম দিয়ে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আবুল ফজলের ব্যাগটি উদ্ধার করে তার হাতে তুলে দেন। আবুল ফজল রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানার বাবর আলীর ছেলে।

পৃথক দুটি ঘটনায় বাংলাদেশি দুই পাসপোর্ট যাত্রীকে এমন নজিরবিহীন সেবা দেওয়ায় আনন্দে আত্মহারা পাসপোর্ট যাত্রীদের অনবদ্য প্রশংসায় এ যেন আরো গতি বাড়িয়ে দিলো পুলিশের কর্মকান্ডে।

সেবা গ্রহীতা আবুল ফজল বলেন, আজ বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ আমাকে যেভাবে সহযোগিতা করলো তাতে আমি অনেক খুশি। অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূইয়া যে মহানুভবতা দেখালেন সারাজীবন মনে থাকবে।

সেবা গ্রহীতা মোঃ রিয়াজ বলেন, আমরা খুবই গরীব মানুষ।টাকাটা ফিরে না পেলে আমার হার্টের চিকিৎসা করাতে পারতাম না। স্যালুট বাংলাদেশ পুলিশের, স্যালুট বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের প্রতি।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, মানুষের জান মালের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ পুলিশ তথা বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ সব সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তায় সর্বত্র কাজ করে পুলিশ। দুই পাসপোর্ট যাত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দিয়ে আমরাও আনন্দিত।