আশরাফুজ্জামান বাবু, ঝিকরগাছা প্রতিনিধি : যশোরের ঝিকরগাছার গদখালী ইউনিয়নের বামনআলী সায়েমপাড়া গ্রামে রাহুল হোসেন (১২) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে । নিহত শিশুটি ওই গ্রামের শাহাজাহান আলীর ছেলে ও কাউরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানাগেছে, শুক্রবার রাতে নিজ ঘরের খাটের নিচে রাহুল হোসেনের (১২) লাশ দেখতে পায় তার পরিবার। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে ঝিকরগাছা থানার এস আই সুমন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, রাহুল হোসেনের বড় বোন রবিলা খাতুনের মনিরামপুর উপজেলার ঝাপা গ্রামে বিয়ে হয়। রবিলার ছোট বাচ্চা অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে কারনে রাহুলের মা সার্জিনা খাতুন বেশ কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করছিলেন। বর্তমানে তারা ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রাহুলের বাবা শাহাজাহান আলী ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। দিনভর সেখানে থাকার পর সন্ধ্যায় তার বাবা-মা বাড়িতে এসে রাহুল হোসেনকে খুজতে থাকে। অনেক খোঁজা-খুজির পর তাদের বসত ঘরের মধ্যে চৌকি (খাটের) নিচে রাহুলের লাশ দেখতে পায়।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। লাশের মুখে রক্ত ও বাম হাতের কেনি আগুলের পাশে ছোলা দাগ আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ইউপি সদস্য শামছুর রহমান বলেন, আমার গ্রামের এই শিশুটির মৃত্যু কিভাবে হলো সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায় এবং বেলা তিনটার দিকে ময়নাতদন্তের শেষে লাশ বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে বোঝা যাবে আসলে কি হয়েছে।

ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন, এই বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিশেষ কিছু পাওয়া গেলে সেই আলোকে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।