ইয়ানূর রহমান : ৫০ বছর পর রযশোরের শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম জনসমুদ্রে পূর্ণ হয়েছে। আওয়ামী লীগের জনসভা ঘিরে স্টেডিয়াম নেতাকর্মীদের ভিড়ে এখন কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সভার প্রধান আকর্ষণ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে জনসভাস্থলে এসে পৌছেছেন দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে। তিনি শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে নির্মিত জনসভা মঞ্চে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন। পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যেখানে জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিনও একই রকম জন সুমদ্রে পূর্ণ হয়েছিল যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম।

প্রধানমন্ত্রী সমাবেশ স্থলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়াম ভরা জনতা স্লোগানে স্লোগানে তাকে বরণ করে নেন। ৫০ বছর আগেও একইভাবে বরন করেছিল যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম।

বেলা ১২টা ২২ মিনিটে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু হয়। সভা পরিচালনা করছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার।

এর আগে দুপুর ১২টার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় জনসভাস্থল। তবে তারপরেও দূরদূরান্ত থেকে হেঁটে মানুষ জনসভাস্থলের দিকে ছুটেছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল জনসভাস্থল। একই সঙ্গে চলেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সংসদ সদস্যদের বক্তব্য। আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কি বার্তা নিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, জনসভাস্থলে বসে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তা শোনার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনেছেন বৃহত্তর যশোরবাসী।

সভামঞ্চে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযুষ ভট্টাচার্য, আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যেখানে জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ঠিক সেখানেই দাঁড়িয়ে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন। ইতিহাসের সেই পুনরাবৃত্তি হলো বাংলাদেশ।