সনতচক্রবর্ত্তী:ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে আগামী ২৯ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আসন্ন ওই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারিচুর রহমান সোহান। তাকে রাজাকারপুত্র বলে আখ্যায়িত করে দলটির অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী রবিবার এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে আলফাডাঙ্গা চৌরাস্তায় মানববন্ধন করে স্থানীয় এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হারিচুর রহমান সোহান। তিনি বলেন, আমার বাবা আব্দুর রহমান গোপালপুর ইউনিয়ন থেকে বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বাড়িতে ৪৫ জনের একটি মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প ছিল। উক্ত ক্যাম্পের যাবতীয় ব্যয়ভার আমার পিতাই বহন করতেন।

তিনি আরো বলেন, আমি গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। এজন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তৃণমূল আওয়ামী লীগের মতামতের ভিত্তিতে আমি প্রথম হই। গোপন ভোটাভুটিতে আমি ১৯ ভোটের মধ্যে ১১ ভোট এবং মো. মোনায়েম খান ৮ ভোট পান। মো. মোনায়েম খান হেরে গিয়ে গত ২০ নভেম্বর আমার পিতা সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানকে রাজাকার বলে আখ্যায়িত করে মানববন্ধন করে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে গণমাধ্যমকর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য জানতে দলীয় কার্যালয়ে গেলে এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন বলেন, গোপালপুর ইউনিয়নে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকায় আমরা ভোটাভুটি দেই। ভোটে হারিচুর রহমান সোহান ১১ ও মোনায়েম খান ৮ ভোট পান। তিনি আরো বলেন, সোহানের পিতা রাজাকার ছিলেন না, শুনেছি পিস কমিটির সদস্য ছিলেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল আলীম সুজা, সহ সভাপতি আব্দুর রউফ তালুকদার, আশরাফুদ্দিন তারা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল আতাউর রহমান সাইক্লোন, মাহবুবুর রহমান কচি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, টগরবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, মো. অলিয়র রহমান নিলু মিয়া প্রমুখ।