নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ যশোর ডিবি পুলিশ আন্তঃজেলা গরুচোর চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে। শনিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বেনাপোলের কাগমারি আমড়াখালী রেলরোড সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে একটি পিকআপসহ (খুলনা মেট্টো ন-১১-০৮৩৯) ৬জনকে আটক করা হয়।

সেখান থেকে চুরি হওয়া তিনটি গরু উদ্ধার করা হয়। আটকরা হলো বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পাগলা শ্যামনগর গ্রামের সৈয়দ মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা ওরফে মুকুল ওরফে জেমস (৩৫), লকপুর গ্রামের গোলজারের ছেলে রিপন শেখ (২৭), বাগেরহাট সদর উপজেলার মুলঘর গ্রামের মারুফ শেখের ছেলে ওবায়দুল শেখ (২৭), সজিব শেখের ছেলে রানা শেখ (৩৫), যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাস্থ আমড়াখালী গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে জালাল (২৭) এবং জয়নাল আবেদীনের ছেলে শিমুল হোসেন (২৭)।

ডিবি পুলিশ জানান, ফতেপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের গোয়াল ঘর থেকে শুক্রবার রাত ১০টার পর থেকে শনিবার ভোর ৪টার মধ্যে তিনটি গরু চুরি হয়। তিনি ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন গোয়াল ঘরের তালা ভায়া, গরু নেই। সে সময় তিনি ডিবি পুলিশের এসআই নিতাই চন্দ্র দাসের কাছে ফোনে বিষয়টি জানান। ডিবি পুলিশ তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে লোকমুখে জানতে পারে একটি পিকআপে করে তিনটি গরু উঠিয়ে লোকজন নিয়ে গেছে। সে সময় থেকে ডিবি পুলিশ পিকআপটি নজরদারি করার চেষ্টা করে। পরে শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বেনাপোলের কাগমারি আমড়াখালী গ্রামের রেললাইনের পাশের হোসেন আলীর বাড়িতে পিকআপটি দেখতে পায়। পরে গরু গুলো জালালের গরুর খামারে রাখার সময় পুলিশ তাদের আটক করে। এ সময় সেখান থেকে চুরি হওয়া তিনটি গরু উদ্ধার করা হয়। একই সাথে গরু চোর সিন্ডিকেটের ৬জনকে আটক এবং চুরির কাছে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করে।

ডিবি পুলিশ আরো জানিয়েছে, উল্লিখিত আসামিরা আন্তঃজেলা গরু চোর সিন্ডিকেটের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে যশোর ও আশেপাশের জেলায় গরু চুরি করে থাকে। আসামি সুমনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় গরু চুরির অভিযোগে ১৩টি মামলা আছে। অপর আসামি ওবায়দুল শেখের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা আছে। এই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে।