আব্দুল্লাহ আল-মামুন : যশোর-১(শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, আগামী ২৪ নভেম্বর আওয়ামীলীগের বিশাল জনসভা সফল করতে যশোরের মাঠে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে তিনি তাঁর প্রথম পছন্দ্রের জেলা যশোরের মানুষের কাছে আসছেন। তিনি যশোরবাসীকে খুব ভালবাসেন বলেই প্রথমে যশোরকে বেছে নিয়েছেন। তাই, আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর ভালবাসার প্রতি একাত্মত্মা প্রকাশ করে উক্ত জনসভায় বিপুল জনসমাগম ঘটিয়ে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের চমক দেখাতে হবে। আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বারংবার নির্বাচিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে সর্বকালের সর্ববৃহৎ জনসভায় পরিণত করতে হবে। বুধবার দিনব্যাপী শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া, উলাশী ও শার্শা ইউনিয়নে গণসংযোগকালে একথা বলেন তিনি।

এসকল গণসংযোগে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি আরো বলেন, এদেশের সাধারণ মানুষের জানমাল সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর। কারণ, এদেশ আওয়ামীলীগের। একটু পিছনের ইতিহাস দেখতে হবে। এদেশের মানুষের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার একমাত্র নিশ্চিত করেছিলেন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি একসময়ের পা ফাটা, হা-ভূখা বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানি পরাশক্তির পরাধীনতার সিকল ভেঙ্গে মুক্ত করে এনেছিলেন, অংকিত করেছিলেন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ভূ-খন্ড।

সেখানে, দেশের মধ্যে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানি পেতাত্মারা জাতির জনকসহ তাঁর স্বপরিবারে হত্যা করে বিশে^র ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করেছিলো। সেসাথে অন্ধকার পথ ধরে এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে এবং দেশে লুটপাতের রাজত্ব কায়েম করে। বিভিন্ন সময়ে তারা রুপ পাল্টে বাঙালি জাতিকে শাসন করে এবং সেদিনের বর্বরোচিত হামলায় বেঁেচ যাওয়া বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশন নেয়। যে ইতিহাস বিশ^ব্যাপী নিন্দিত ও ঘৃণীত।

তাই, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতের যেকোন ধরণের নাশকতা ও গুজব ঠেকাতে আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী ও লুটপাতের দল। এই লুটেরাদের হাতে বাংলাদেশের মানুষ কখনও নিরাপদ থাকেনি এবং ভবিষ্যতেও থাকবেনা। তারা সরকারে থেকে দূর্নীতিতে টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াসহ হওয়া ভবনের নামে প্যারালাল প্রশাসন গঠন করে দেশকে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছিলো।

এসময় সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, কোষাধ্যক্ষ ওয়াহেদুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরদৌস, চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন তোতা, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবল হোসেন রাসেল, শ্রমীকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, বাস্তহারালীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, মহিলা যুবলীগের সভাপতি শিরিনা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক লিলিফুন নাহার, বেনাপোল পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আহাদুজ্জামান বকুল, জসীম উদ্দিন প্রমুখ।

বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে প্রস্তুতি সভার সভাপতিত্ব করেন বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আযাদ ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল। উপস্থিত ছিলেন কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ কায়বা ও বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

উলাশী ইউনিয়নের রামপুর বাজারে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভার সভাপতিত্ব করেন উক্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আয়নাল হক। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাহেব আলী।

শার্শা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে নাভারন বাজারে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভার সভাপতিত্ব করেন উক্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কওছার আলী, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোরাদ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন শার্শা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।