খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ অক্টোবর ২০, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4661 বার
আশরাফুজ্জামান বাবু, ঝিকরগাছা প্রতিনিধি : মরনোত্তর দেহদানের ঘোষণা দিলেন ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল হাইস্কুলের সাবেক সহকারী সিনিয়র শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রশিদ। তিনি মনিরামপুর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত হেরমত আলী মোড়ল ও মৃত রুমিছা খাতুনের পুত্র। বর্তমানে তিনি ঝিকরগাছা পৌরসদরের পুরন্দুরপুর (সাদ্দামপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা।
১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহনের পর ১৯৭১সালে নিজের জীবন উৎসর্গ করার শফথ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করার জন্য ঝাপিঁয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে প্রায় ৪১বছর শিক্ষাগতা করেন। গত ২০২০ সালে ‘আইপিডিসি-প্রথম আলো’ এর আয়োজনে প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা পান। তিনি এবার যশোরের বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ের মাধ্যমে ৩শত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এফিডেফিটের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবায় মরনোত্তর দেহ দানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। মৃত্যুর পর ঝিকরগাছা পৌরসভার যে কোনো স্থানে চলমান রীতি অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মাননা প্রদানের পর, তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মৃত দেহ যশোর মেডিকেল কলেজকে হস্তান্তর করার ঘোষণা করেছেন। মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান এবং চিকিৎসা শাস্ত্রের উপকরণার্থে বা চিকিৎসার প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ তার দেহ ব্যবহার করতে পারবে। তার এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে কাহারো কোন আপত্তি থাকিলে অগ্রাহ্য হইবে।
১৮ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখ মঙ্গলবার যশোরের বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ের এ্যাড. জিএম আবু মুছা ও জজ কোর্টের এ্যাড. আবুবকর সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে এই এফিডেভিট রেজিস্ট্রি করে নেন। রেজিস্ট্রি নং ৮২৯৭, তারিখ ১৮/১০/২০২২। পরবর্তীতে একই তারিখে তার এফিডেভিটের কপি যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মহিদুর রহমানের নিকট জমা দিয়ে রিসিভ করিয়ে নেন।
ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আজাদ বলেন, তিনি আমাদের গর্ব। তিনি দেশের জন্য যুদ্ধ করে আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি তার জীবনের বেশিভাগ সময়টা মানুষ তৈরীর কারিগর ছিলেন। এখন তিনি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন সেটাও শিক্ষার্থীদের জন্য করতে চাইছেন। সারাজীবন তিনি আমাদের নিকট উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে বেঁচে থাকবেন বলে আমি আশাবাদি।