খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ অক্টোবর ২০, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4939 বার
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে: নড়াইলের মধুমতী সেতু থেকে ২৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা টোল আদায় । নড়াইলের কালনায় মধুমতী সেতু চালুর প্রথম সপ্তাহে ২৫ হাজার ৫৮৭টি যানবাহন চলাচল করেছে।
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ২৩ লাখ ৩৪ হাজার ২৫০ টাকা। ১০ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরু করার পর গত সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত এক সপ্তাহে গাড়ি চলাচল ও টোল আদায়ের এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন।
গোপালগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন বলেন, টোল আদায়ের বিষয়টি এখনো ইজারা দেওয়া হয়নি। গোপালগঞ্জ সওজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টোল আদায় করছেন। টোলের কম্পিউটার রসিদ দেওয়া হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ সওজ সূত্র জানায়, সেতুতে প্রথম দিন গাড়ি চলেছে ৩ হাজার ৫৭৬টি, টোল আদায় হয় ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৫৫ টাকা। পরের দিন ১২ অক্টোবর ৩ হাজার ৫৫৪টি গাড়ি চলেছে, টোল আদায় হয় ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২২৫ টাকা। ১৩ অক্টোবর গাড়ি চলে ১ হাজার ৯৯১টি, টোল আদায় হয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮২০ টাকা। ১৪ অক্টোবর ৫ হাজার ৪৬৩টি গাড়ি থেকে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯০ টাকা আদায় করা হয়েছে। ১৫ অক্টোবর ৪ হাজার ৪০টি গাড়ি থেকে ৩ লাখ ৩ হাজার ৬০০ টাকা টোল আদায় হয়। ১৬ অক্টোবর ৩ হাজার ১০৪টি গাড়ি ২ লাখ ৮২ হাজার ৯৫০ টাকা টোল দিয়েছে। ১৭ অক্টোবর সেতু দিয়ে চলে ৩ হাজার ৮৫৯টি গাড়ি, টোল আদায় হয় ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪১০ টাকা।
১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মধুমতী সেতু উদ্বোধন করেন। ওই দিন রাত ১২টা থেকে সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। মধুমতী সেতুর পূর্ব পাড়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা এবং পশ্চিম পাড়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা। উদ্বোধনের পর থেকেই ছয় লেনের দৃষ্টিনন্দন এই সেতুতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
সেতুর টোল প্লাজা পার হওয়ার সময় কয়েকজন ট্রাকচালক অভিযোগ করেন, পদ্মা সেতুতে মধ্যম ট্রাক হিসেবে টোল নেওয়া হয় যেসব ট্রাকের, সেগুলোর টোল এই সেতুতে ভারী ট্রাক হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।
নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে টোল আদায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল হালিম খান প্রথম আলোকে বলেন, ৭ টনের ওপরের ট্রাকগুলোকে ভারী হিসেবে ধরে ৪৫০ টাকা এবং ৭ টনের কম ট্রাকগুলোকে মধ্যম হিসেবে ধরে ২২৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন বলেন, টোল আদায় পদ্ধতি যখন পুরোপুরি ডিজিটাল হবে, তখন টোল প্লাজার ক্যামেরা গাড়ির ছবি নিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল নির্ধারণ করবে। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোলের স্লিপ প্রিন্ট হবে। তখন কোনো অভিযোগ থাকবে না। জাপানি কারিগরি দল কয়েক দিনের মধ্যে আসবে এটি প্রস্তুত করতে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে টোল হার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কনটেইনার বা ভারী মালামাল পরিবহনে সক্ষম যানের টোল ধরা হয়েছে ৫৬৫ টাকা, বড় ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান ৪৫০ টাকা, মধ্যম ট্রাক ২২৫ টাকা, বড় বাস ২০৫ টাকা, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, পাওয়ার টিলার বা ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস বা পিকআপ ভ্যান ৯০ টাকা, সিডান কার ৫৫ টাকা, টেম্পো বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং ভ্যান, রিকশা বা বাইসাইকেল ৫ টাকা।