সানজিদা আক্তার সান্তনা, যশোর অফিস : যশোর শহরতলীর চাঁচড়া বর্মণপাড়ার একটি খাল থেকে রনি (২৪) নামের ঘের শ্রমিকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়েছে। রনিকেকে কুপিয়ে হত্যার পর খালে লাশ ফেলে দেয়া হয়। নিহত রনি চাঁচড়া গোলদারপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার বাবুর ছেলে। রোববার সন্ধ্যায় চাঁচড়া ফাাঁড়ি পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। রনি হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ রকি নামে এক যুবককে আটক করে। তবে পুলিশ আটকের কথা স্বীকার করছে না।

চাঁচাড় ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আকিকুল ইসলাম জানান, নিহত রনি পেশায় একজন মাছের ঘের শ্রমিক। শনিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রনি নিখোঁজ হয়। রনির পিতা বাবু জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় পর রনিকে বাড়ি থেকে রকি নামে তার এক বন্ধু ডেকে নিয়ে যায়। এলাকার অনেকেই দেখে রনিকে বাড়ি থেকে রকি ডেকে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর সে আর বাড়ি ফেরে না। রনি নিখোজের পর একালাবাসি রকিকে ধরে গানপিটুনি দিলে সে রনির সন্ধ্যান দেয়। রনি নিখোজের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তারা রনিকে খোঁজাখুজি শুরু করে। এরপর এলাকাবাসি রকিকে ধরে গণপিটুনি দেয়ার পর রনির সন্ধান মেলে। পুলিশ রকির দেয়া তথ্য অনুযায়ি রনির লাশ উদ্ধার করে। রোববার সন্ধ্যায় চাঁচড়া বর্মণপাড়া দক্ষিনপাড়া শ্মশানের খাল থেকে রনির লাশ পুলিশ উদ্ধার করে।

ইন্সপেক্টর আকিকুল ইসলাম বলেন, লাশের গলা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। রনি চাঁচড়া এলাকার ইমরোজ হত্যা মামলার আসামি।

নিহত রনির বড় ভাই ফিরোজ জানান, নুরু মউরি ও তার ছেলে মদ খেয়ে রনিকে কুপিয়ে হত্যা করে খালে ফেলে দেয়।

ইন্সপেক্টর আকিকুল ইসলাম আরো জানান, রনির সাথে কাদের শত্রুতা ছিলো কে বা কারা রনিকে খুন করেছে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। রনি হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ রকিকে আটক করলেও আটকের কথা স্বীকার করছে না।