জেলার খবর, ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ বিভাগ | তারিখঃ জুলাই ১৯, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4144 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : ট্রাকচাপায় বাবা-মা ও এক সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক চালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। দুর্ঘটনার সময় অন্তঃসত্ত্বা মায়ের পেট ফেটে অলৌকিকভাবে ভূমিষ্ঠ হয় এক শিশু, যে ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হয়েছে।
ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স নেই ময়মনসিংহের ত্রিশালে মহাসড়কে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে বাবা-মাসহ এক সন্তানের মৃত্যু ও গর্ভে থাকা শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার ট্রাকচালকের। ট্রাকচালক রাজু আহমেদ ওরফে সিপনকে (৪২) সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব ১৪ এর দল।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার মঈন আলী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘাতক ট্রাকের সকল কাগজপত্র মেয়াদোত্তীর্ণ ছিলো। ট্রাকের ধারণ ক্ষমতা ৭ টন; কিন্তু ঘটনার সময়ে ট্রাকে সাড়ে ১৩ টন মাল ছিলো এবং ট্রাক চালক শারীরিকভাবেও অক্ষম ছিলো।
খন্দকার মঈন আলী বলেন, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও ছিলো না। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তার মাঝারি গাড়ি চালানোর জন্য লাইসেন্স ছিলো। এরপর আর কোনো লাইসেন্স ছিলো না তার।
তিনি বলেন, রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা ওই পরিবারকে দেখতে পায়নি চালক। আর যখন বুঝতে পারে তখন ট্রাকের ব্রেক কাজ করেনি।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাকচালক রাজু জানায়, গত ১১ জুলাই থেকে একটানা মালামাল পরিবহন করে আসছিলো সে। দুর্ঘটনা পূর্ব পর্যন্ত ট্রাকচালক মাত্র ৩০ মিনিট বিরতি নিয়ে আবারো টানা চালানো শুরু করে। এরপর মাল বোঝাই করে ময়মনসিংহের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌছালে রাস্তা পারাপারের জন্য দাড়িয়ে থাকা নিহত জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী-সন্তানকে চাপা দেয়।
ওই সময় দুর্ঘটনার পর উপস্থিত লোকজন ট্রাকটি থামায়। সুযোগ বুঝে ট্রাকচালক ঢাকাগামী একটি বাসে উঠে ময়মনসিংহ বাইপাসে নামে এবং সেখান থেকে একটি সিএনজি ও বাসে করে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পৌছায়। গতকাল সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত চালক জানায়, গত ৬-৭ মাস ধরে সে শতকরা ১০ শতাংশ কমিশনে ট্রাক চালিয়ে আসছিলো। গাড়ির ফিটনেস মেয়াদ ছিলো না। গাড়ির ধারণ ক্ষমতা ৭ টন হলেও দুর্ঘটনার সময় গাড়িটির ওজন ছিলো সাড়ে ১৩ টন।