স্ট্যান্ট শব্দটির সাথে পরিচিত নন এমন মানুষ অনেক কমই আছে। ইংরেজি এ শব্দের অর্থ হলো কৌশলজনিত খেলা। বাংলাদেশে বাইক স্ট্যান্ট এবং সাইকেল স্ট্যান্টগুলো শহরে বসবাসকারী লোকজনেরা দেখেন।

ইউটিউব বর্তমানে বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবীতে খুব জনপ্রিয়। ফ্রি ভিডিও শেয়ারিং প্লার্টফর্মটিতে চাইলে পৃথিবীর যেকোনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ভিডিও আপলোড এবং দেখতে পারবে। আজকের সাক্ষাতকার একজন স্ট্যান্ট রাইডারকে নিয়ে।

ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি আলীফ জী আর জেড নামে পরিচিত। তিনি একজন প্রফেশনাল স্ট্যান্ট রাইডার এবং ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ফলোয়ার সংখ্যা ১ লক্ষ ১৩ হাজার এবং ফেসবুক পেইজে অনুসারীর সংখ্যা ১১ হাজার।

আলীফ জী আর জেড এর আসল নাম তানভীর আহম্মেদ আলীফ। মা বাবার একমাত্র ছেলে তিনি। ঢাকায় জন্ম হলেও শৈশব কাটে যশোরের শার্শা থানায়। বর্তমানে তিনি বেনাপোলে থাকেন।
সেইন্ট যোশেপস হাই স্কুল এবং শার্শা উপজেলা কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন তিনি।

গ্রামের সংবাদের ছোট্ট এক সাক্ষাতকারে কিছুক্ষণ চলে প্রশ্ন উত্তর।

শৈশবের একটা মূহুর্ত কি মনে আছে যা কখনো ভুলবেন না?
তানভীর আহম্মেদ আলীফ -শৈশবের তেমন কোন স্মৃতি মনে নেই তবে আগে আমার কাউকে টাকা দেওয়া লাগতো না সবাই আমাকে দিতো কিন্তু এখন চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই ব্যাপারটা মিস করি।

সাইকেল এবং বাইক স্ট্যান্ট এর সাথে কিভাবে যুক্ত হওয়া হয় এবং উল্লেখযোগ্য কোথায় কোথায় বাইক স্ট্যান্ট করেন?
তানভীর আহম্মেদ আলীফ – আমার অনেক আগে থেকেই বাইকের প্রতি আকর্ষণ ছিল। মেট্রিকের আগে যখন আমি বাসায় বাইকের জন্য আবদার করি আম্মুর কাছে তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা তেমন একটা ভালো ছিল না সে কারনে আম্মু তখন আমাকে কিনে দিতে রাজি হননি। সে কারনে আমি রাগ করে যে.এস.সি পরীক্ষার আগে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। আমার প্রথম যে.এস.সি পরীক্ষা আমি বাসার বাহিরে থেকে দেই। পরে আমাকে প্রথম ৭০০০ টাকা দিয়ে একটা সাইকেল কিনে দেয় এর পরে ২০১৬ থেকে আমি সাইকেল স্ট্যান্ট শুরু করি। আস্তে আস্তে আমাদের একটা সাইকেল স্ট্যান্ট গ্রুপ তৈরি হয়ে যায় যেখানে আমরা সবাই স্ট্যান্ট করতাম এবং যারা করতে চাইতো তাদেরকে শিখাতাম । ২০১৭ সালে আমরা মোহাম্মাদপুর স্ট্যান্ট রাইডারস এর সাথে মিলে এম এস ভি জেড, বেনাপোল ডিভিশন উদ্ধোধন করি। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের ৪০ জেলায় স্ট্যান্ট গ্রুপের ডিভিশন আছে !
আল্লাহ্’র রহমতে এখন পর্যন্ত ২০ এর বেশি স্ট্যান্ট সম্পর্কিত আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছি।

আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
তানভীর আহম্মেদ আলীফ- আমি ছোট থেকে কষ্ট করে আসছি কষ্ট করে যেতে চাই । জীবনে অনেক টাকা ইনকাম করতে চাই পরিবারের সাথে অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।