খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ মে ১০, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3920 বার
সানজিদা আক্তার সান্তনা, যশোর অফিস : কন্যার বয়স হলেও বাল্য বিয়ের অভিযোগ তুলে বিয়ে বাড়ির খাবার তুলে নিয়ে নিজ ক্যাডারদের খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে শার্শার সদর ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন তোতার বিরুদ্ধে। বিয়ে বাড়িতে আনা অতিথিদের আপ্যায়নের খাবার তুলে নিতে দেখে মেয়ের পিতা ইদ্রিস আলী দিশেহারা হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে। অসহায় কন্যার পিতা তার সর্বোস্ব আকুতি মিনতি করে মেহমানদের খাবার রেখে দিতে না পেরে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লেও চেয়ারম্যান তার কোন আকুতি মিনতি শোনেননি। গত ৫/০৫/২০২২ তারিখে এ ঘটনা ঘটেছে শার্শার চটকাপোতা গ্রামে।
কনের পিতা ইদ্রিস আলী বলেন, তার মেয়ে সম্প্রতি ভালবাসার সম্পর্ক ধরে নিজে বিয়ে করে ঝিকরগাছার কুন্দিপুর গ্রামের একটি কাজী অফিসে। জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী মেয়ের বয়স ১৮ বছরের কিছু কম হলেও তার আসল বয়স চলছে ১৯। মেয়ে তার নিজস্ব ভালো মন্দ বুঝতে পেরে ওই ছেলের সাথে বিয়ে করে। আমি ছেলেদের পরিবারের এবং গ্রামের মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ ও কিছু আত্নীয় স্বজন এর সন্মানে গত ৫ মে বাড়িতে খাবার আয়োজন করি।
হঠাৎ ঐ দিন চেয়ারম্যান তোতা তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমার বাড়িতে এসে জোর পূর্বক একটি মুচলেকা নিয়ে আত্বিয়ের জন্য খাবার দাবার ভ্যানে উঠায়। আমি শতবার অনুরোধ করি চেয়ারম্যান সাহেব যে সব আত্নীয় স্বজন দুর থেকে এসেছে তারা অন্তত দুটো খেয়ে যাক। বরযাত্রীদের আমি আসা বন্ধ করছি। আমার কোন আকুতি মিনতি তিনি শোনে নাই। সব খাবার তুলে নিয়ে চলে যায় শার্শা বাজারে। সেখানে তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যেরে মাঝে খাবার বিলিয়ে করে দেয়।
ইদ্রিস আলীর ভাই মেয়াদ আলী ঢালী বলেন, আমি খাবার নিয়ে যাওয়ার পর শার্শায় তোতা চেয়ারম্যান এর অফিসে এসে এক ডেক্সি খাবার আত্নীয় স্বজন এর জন্য ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। এতে তোতা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বের করে দেয় তার অফিস থেকে।
স্থানীয় ওই গ্রামের সাহেব আলী বলেন, চেয়ারম্যান এটা ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে করেছে ইদ্রিস আলীকে অপমান অপদস্ত করার জন্য। চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলীর বাড়ির ১৮ টি গাছ কেটেও নিয়েছে যে গাছ বিক্রির টাকা তাদের এখনও পর্যন্ত দেয়নি।
এ বিষয় চেয়ারম্যান তোতাকে ফোন করলে তিনি বলেন, যা করা হয়েছে তা টিএনও’র ডিসিশনে করা হয়েছে। খাবার এতিম খানায় বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি জানার জন্য শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বেলা ১২.৪৫ ঘটিকার সময় ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।