গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা যখন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে কেনাকাটায় ব্যস্ত তখনই বাজার থেকে উধাও হয়ে গেল সয়াবিন তেল।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী, বনানী, তেজকুনীপাড়াসহ বড় বড় কাঁচাবাজারের মুদি দোকানগুলোতেও এ ভোজ্যতেলের দেখা মিলছে না।

দুএকটি দোকানে পাওয়া গেলেও চাহিদার তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল।

এমন সংকটের মধ্যেই সুখবর, সোয়া দুই কোটি লিটার সয়াবিন তেল নিয়ে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে একটি জাহাজ। পুরোদমে খালাসও চলছে এর।

এই জাহাজে মোট ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল রয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, এমভি ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ জাহাজে আমদানি করা সয়াবিন তেল খালাস প্রায় শেষ পর্যায়ে। খালাস শেষে কাল বন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। পাঁচটি ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানি এ বিপুল তেল আমদানি করেছে।

দেশে অপরিশোধিত আকারে সয়াবিন তেল আমদানি হয়। গত অর্থবছরের হিসাবে, অপরিশোধিত আকারে প্রতি মাসে গড়ে আমদানি হয় ৬৫ হাজার টন। এ হিসাবে ২ কোটি ২৯ লাখ টন সয়াবিন তেল দিয়ে অন্তত ১০ দিনের চাহিদা পূরণ সম্ভব।

প্রসঙ্গত, দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৮০ শতাংশের বেশি আমদানি করে পূরণ করা হয়। সাত থেকে আটটি প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত তেল আমদানি করে পরিশোধন করে বাজারে ছাড়ে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, এ বছর মার্চ ও এপ্রিল দুই মাসে সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে ৯২ হাজার টন, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। একই সময়ে (১ মার্চ-২৮ এপ্রিল) ১ লাখ ৩৭ হাজার টন সয়াবিন তেল বন্দরের কাস্টম বন্ডেড ট্যাংক টার্মিনাল থেকে খালাস করেছে কোম্পানিগুলো।