চট্টগ্রাম বিভাগ, জেলার খবর, নোয়াখালী | তারিখঃ এপ্রিল ২৪, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3351 বার
নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দুই ঘণ্টা ছটফট করে সালা উদ্দিন মিরন নামের এক রোগী মারা গেছেন। এ ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ৩ চিকিৎসককে ভাসানচরে বদলি ও তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টার দিকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ কেউই কর্মস্থলে ছিলেন না বলে অভিযোগ করেছে মৃতের স্বজনরা। মৃত সালা উদ্দিন মিরন উপজেলার বেসরকারি একটি উন্নয়ন সংস্থার নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন। তার বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের পূর্ব খিরিদিয়া গ্রামে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, বিষয়টি জানার পর পরই প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সেলিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মিরনের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে বুকে ব্যথা নিয়ে মিরনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তারা। কিন্তু জরুরি বিভাগে গিয়ে কর্তব্যরত কোনো চিকিৎসক কিংবা অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত হাসপাতালের নিচ তলায় জরুরি বিভাগে ছটপট করতে করতে মারা যান মিরন। পরে সকাল ৮টার কিছু পর একজন চিকিৎসক এসে মিরনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার রাত ৮টা থেকে জরুরি বিভাগে দায়িত্বে ছিলেন ডা. দিপ্ত কুরি, উপ-সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক (স্যাকমো) ইফতেখার সোহেল ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন আশরাফ আলী। তারা রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু ভোর পৌনে ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।