সারাবিশ্ব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে রবিবার সকালে পাতাল ট্রেনে আগুন দিয়ে এক নারীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় পুলিশ ইতিমধ্যে একজনকে আটক করেছে। নিউ ইয়র্ক পুলিশের কমিশনার জেসিকা টিশ এই ঘটনাকে ‘মানুষের বিরুদ্ধে সম্ভবত সবচেয়ে অমানবিক অপরাধের একটি’ বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি জানান, রবিবারের ওই ঘটনায় মারা যাওয়া নারী থেমে থাকা একটি ট্রেনে ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি তার পোশাকে আগুন ধরিয়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। পুলিশ দ্রুত আগুন নেভালেও ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ ঘটনার সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো তদন্ত করছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, নাম না জানা ওই নারী স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় কনি আইল্যান্ড-স্টিলওয়েল অ্যাভিনিউ স্টেশনে একটি পাতাল ট্রেনে ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি তার কাছে যান ও আগুন ধরিয়ে দেন।

পুলিশ সদস্য জোসেফ গুলোটা বলেন, আগুন লাগানোর সময় ওই নারী ‘নড়াচড়া করছিলেন না’ এবং তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন কি না, তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ছাড়া হামলার আগে দুজনের মধ্যে কোনো ধরনের যোগাযোগ হয়নি এবং তাদের একে অপরকে চেনার সম্ভাবনাও নেই।

ঘটনার বিষয়ে পুলিশ কমিশনার টিশ বলেন, ‘স্টেশনের ওপরের তলায় টহলরত সদস্যরা ধোঁয়া ও আগুনের গন্ধ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান।’ সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান, ‘ট্রেনের বগিতে দাঁড়িয়ে থাকা একজনকে আগুন পুরোপুরি আচ্ছন্ন করে ফেলেছে।’ অভিযুক্ত ব্যক্তি ট্রেন থেকে নেমে কিছু সময় প্ল্যাটফরমের একটি বেঞ্চে বসে ছিলেন।

তাই ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের গায়ে লাগানো ক্যামেরা থেকে তার স্পষ্ট ও বিস্তারিত ছবি পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) সন্দেহভাজনের ছবি ছড়িয়ে দেয়।
এরপর কয়েকজন স্কুলপড়ুয়া কিশোর পরে ৯১১-এ ফোন করে অভিযুক্তকে অন্য একটি পাতাল ট্রেনে শনাক্ত করার কথা জানায়। পরে অভিযুক্তকে হারাল্ড স্কয়ার স্টেশনে আটক করা হয়, যা ম্যানহাটানের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের কাছে অবস্থিত। তার পকেটে একটি লাইটারও পাওয়া যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০১৮ সালে গুয়াতেমালা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান বলে গুলোটা জানিয়েছেন।

কমিশনার টিশ বলেন, ‘আমি ওই কিশোর-কিশোরীদের ধন্যবাদ জানাই, যারা ৯১১-এ কল করেছে। তারা কিছু দেখেছে, কিছু বলেছে ও পদক্ষেপ নিয়েছে।’

সূত্র : বিবিসি