নিজস্ব প্রতিবেদক : বেনাপোল বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ এনামুল হক মুকুলের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনাকালীন সময়ে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়ার সুবাধে শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য ও প্রতিষ্ঠানের জায়গায় নির্মিত ৭টি দোকান ঘর বেআইনী ভাবে দখল করার মত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

বেনাপোল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহসানুল কবির তুহিন প্রতিনিধিকে জানান, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি তার একক ক্ষমতা বলে সাধারণ শিক্ষকদের সাথে কোন রূপ আলোচনা ছাড়াই দোকান ঘর নির্মান করে নিজে দখলে রেখেছেন। বিষয়টি আমরা সাবেক এমপি মহোদয়কে জানিয়েছি।

এছাড়াও সভাপতি মুকুলের স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়োগ বানিজ্যের বলি হয়েছেন দীর্ঘ বৎসর ধরে বিদ্যালয়টিতে মাস্টাররোলে চাকরীরত ৪জন শিক্ষক।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর তিনি গাঁ ঢাকা দিলে তার অনিয়মের যাতাকলে পিষ্ঠ ভূক্তভোগীরা মুখ খুলতে শুরু করেছে। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতিকরণ করে তিনি শিক্ষার পরিবেশ নষ্ঠ করেছেন। অযোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়ে তিনি মাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত ক্ষতি সাধন করেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক অভিভাবকবৃন্দ।

অনিয়ম-দূর্নীতির তথ্য অনুসন্ধান কালে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হওয়ার সুবাধে তার ৫বছরের অধিক সভাপতির মেয়াদ কালীন সময়ে ১৫লাখ টাকায় ১জন সহকারী প্রধান শিক্ষক, ৮লাখ টাকায় ১জন কম্পিউটার শিক্ষক, ৮ লাখ টাকায় ১জন ল্যাব অপারেটর ও ৫লাখ টাকার অর্থবানিজ্যে ১জন আয়া নিয়োগ দিয়েছেন।

হাইস্কুল মার্কেটের দোকান মালিক আব্দুস ছাত্তার ও সালাম অভিযোগ জানিয়ে বলেন ১৯৭৮ সাল হতে বিদ্যালয়ের ঘোষণা মোতাবেক এককালীন টাকা জমা দিয়ে দোকান ঘরের পজিসন ক্রয় করে মাসিক ভাড়া প্রদান সাপেক্ষে আমরা ব্যবসা পরিচালানা করে আসছি। সম্প্রতি সময়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দোকান ঘর পূনঃনির্মান বাবদ ঘরপ্রতি ২লাখ টাকা করে গ্রহণ করেন। আমাদের ক্রয়কৃত দোকান ঘরের পজিসন এর পরিমাফ ১১ফুট ও ১৫ ফুট থাকলেও জোর পূর্বক দোকানের দৈর্ঘ প্রস্থ কমিয়ে এনে ৪টি দোকান ঘর বাড়িয়ে তা সভাপতি নিজেই প্রভাব খাটিয়ে ভোগ দখল করছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তুহিন আবারো প্রতি দোকান ঘর বাবদ ১ লাখ টাকা করে দাবী করে জমা দিতে বলেছে যা সম্পূর্ন দোকান ঘর বরাদ্দের সময় লেখা চুক্তিনামা বর্হিভূত। এমনকি আমাদের দোকানের উপর তলার পজিসন আমাদের সাথে আলোচনা ব্যাতিত অন্যত্র বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সাইবোর্ড দিয়েছে। বিষযটি নিয়ে আমরা বহুবছর আগ হতে প্রতিবাদ জানিয়েছি এমনকি আদালতের শরাণাপন্নও হয়েছি।

ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।