খুলনা, খুলনা বিভাগ, জেলার খবর | তারিখঃ জুলাই ৭, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3443 বার
রাসেল আহমেদ,খুলনা জেলা প্রতিনিধি : বর্তমান বর্ষা মৌসুমে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ক্ষতিকর আফ্রিকান জায়ান্ট ভয়ংকর প্রজাতির শামুকের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
এলাকার সাধারণ মানুষ এই শামুকের ক্ষতি করার সক্ষমতা সর্ম্পকে অবগত নয়। এই শামুক বিশ্বের যেসব দেশে ছড়িয়েছে সেসব দেশের জীব বৈচিত্র্যে ও কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। এরা ফসলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বাগান নষ্ট করে ফেলে। সড়কে অবস্থান করায় ছোট যান বাহনের জন্য রয়েছে ঝুঁকি।
এ ক্ষতিকর আফ্রিকান শামুক নির্মূল না করা হলে প্রকৃতির জন্য ভয়াবহ হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে। স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা হলেই এগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে বের হয়ে আসে। আর দিনের বেলায় অত্যাধিক সূর্যালোক থেকে বাচঁতে লুকিয়ে থাকে।
অতি বৃষ্টির সময় এরা দালানের দেয়াল বেয়ে উপরে উঠে আশ্রয় নেয়। দালানের জন্যও এ শামুক ক্ষতিকর। এর মাংস খুবই শক্ত বিধায় পশু-পাখিরাও খেতে চায় না।
সুত্রমতে, অনেক দেশে এই শামুক শতভাগ নির্মূলের জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করছে। এর মধ্যে অন্যতম হল আমেরিকার ফ্লোরিডা, ভারতের কেরেলা এবং কর্ণাটক রাজ্যের কোদাগু জেলা। ভারতে গত তিন দশক ধরে এই শামুকের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করে আসছে।
সম্প্রতি তারা সফলতার মুখ দেখতে পেরেছে। বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরাও এই শামুক নির্মূলের বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বিচিত্র প্রজাতির এ শামুকটি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বর্তমান বর্ষা মৌসুমে দেখা মিলছে। ফলে হুমকির মুখে পড়বে কৃষি ব্যবস্থা।
উপজেলার বারাসাত ইউনিয়নের ইখড়ি গ্রামের মোস্তাফিজুর শেখ জানান, এই শামুক রাতে হাঁটা চলা করতে দেখা যায়, খুবই ভয়ংকর প্রজাতির শামুক এটি, আমাদের বাড়ির গাছে, ঘরের দেয়ালে ও ঘরের বেড়ায় দলবেঁধে বসে থাকে। বিভিন্ন গাছের পাতা, ফলমূল খেয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই সচেতন মহলের ধারণা,ক্ষতিকর শামুকের এ প্রজাতিটি নির্মূলের জন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং যেভাবেই হোক এর প্রজনন ও বৃদ্ধি প্রক্রিয়া নষ্ট করতে হবে। তা না হলে এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। এতে গোটা দেশের কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে।
তেরখাদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শিউলি মজুমদার জানান, এই প্রজাতির শামুকটি অনেক ক্ষতিকর। এখন যেহেতু বর্ষাকাল তাই উপজেলার কিছু কিছু এলাকার বাড়ির আশপাশে, ধানখেতে দেখা যায়। তাই যার সামনেই পড়বে, ক্ষতিকর এ শামুকটি মেরে ফেলাই ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।