আইন ও আদালত | তারিখঃ জুন ৯, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 986 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ সদস্য মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনা নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি জানিয়েছেন, আক্রমণকারী কনস্টেবল কাউসারকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আর নিহত মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু গুলির খোসা ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান আইজিপি।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশান থানার বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে মনিরুল ইসলাম নামের পুলিশের এক কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করেন আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ। পরে একইদিন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে যান আইজিপি। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, “রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে তিন রাউন্ড গুলি লাগে জানিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, “আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু গুলির খোসা ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ঘটনার কারণ জানতে আমরা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করব। প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।”
দূতাবাস এলাকা খুবই সুরক্ষিত এলাকা। এ ধরনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতা প্রকাশ পায় কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, “ঘটনাস্থলে আমাদের লোক ছিল। ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কী কারণে ঘটেছে সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি। কনস্টেবল মনিরুলের সঙ্গে অপর পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আহমেদের কি নিয়ে বিরোধ ছিল তা তা জানার জেষ্টা চলছে।”
কাউসারকে কীভাবে আটক করা হয় জানতে চাইলে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “ঘটনার পর কাউসার তার অস্ত্রটা রেখে ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। তখন তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।”
জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, “তিনি পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় গুলিবিদ্ধ হন।”
কূটনীতিক এলাকায় একজন কনস্টেবলকে দিনে ১৬ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। এই ডিউটি করার কারণে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন কি-না বা কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন কি না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, “সবগুলো বিষয়ে আমরা তদন্ত করব।”