সনতচক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর: ফরিদপুরে শাহেদ শেখ (১৭) নামের এক কিশোরকে হত্যার দায়ে ইব্রাহিম মোল্যা (১৯) নামে এক যুবককে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইব্রাহিম মোল্যা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার রায়ের পানাইল এলাকার আলম মোল্যার ছেলে।

সোমবার (১৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।

রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, হত্যার ঘটনার সময় আসামি ইব্রাহিম মোল্যার বয়স ১৭ ছিল। তবে রায়ের সময় আদালত ওই যুবকের বয়স ১৮ পার হওয়ায় আগেই কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের আটকা আদেশ বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার চরডাঙ্গা গ্রামের জসিম মোল্যার মেয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী শেখ সাদিরের ছেলে শাহেদের সঙ্গে কথা বলাকে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি বেলা ১২টার দিকে নিহত শাহেদ বাড়ির পাশের মুদির দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মেয়েটির পরিবারের লোকজন লোহার রড ও লাঠি-সোটা দিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে শাহেদের মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়। পরে আহত কিশোরকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থা অবনতি হওয়ায় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই দিন রাতে সে মারা যায়।

এই ঘটনায় নিহতের খালু লিটন খান বাদী হয়ে অভিযুক্তদের নামে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২০২২ সালের ২৮ জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি স্বপন পাল জানান, দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অভিযুক্ত যুবককে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

এদিকে নিহতের মা শিল্পী বেগম এই রায়ে সন্তুষ্টি হয়নি। তাই তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান তিনি।