সারাবিশ্ব | তারিখঃ মে ১০, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3247 বার
গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : ভারতে প্রায় ৮% কমেছে হিন্দু জনসংখ্যা। একই সময়ে বেড়েছে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা। নির্বাচন চলাকালীন এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ। ১৯৫০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ খবর প্রকাশ করেছে।
এমন এক সময়ে এ খবর প্রকাশ করা হলো যখন ভারতে কয়েক দফায় নির্বাচন চলমান এবং ভোটের সম্ভব্য ফল ও পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বেশ অসন্তষ্ট।
ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৭.৮২ %। একই সময়ের মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা ৪৩.১৫ %শতাংশ বেড়েছে। খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং শিখ জনসংখ্যাও বেড়েছে। তবে কমেছে পার্সি এবং জৈন জনসংখ্যা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৫০ সালে মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৮৪.৬৮ % মানুষ হিন্দু ছিলেন, যা ২০১৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮.০৬ %। আবার ১৯৫০ সালে মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৯.৮৪ % মুসলিম ছিলেন। সেটা ২০১৫ সালে বেড়ে ১৪.০৯ % এ পৌঁছে গেছে। অর্থাৎ৬৫ বছরে ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ৪৩ % বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার নিরিখে ১৯৫০ সালে ২.২৪ % খ্রিস্টান ছিলেন, যা ২০১৫ সালে বেড়ে ২.৩৬ % এ ঠেকেছে। অর্থাৎ ৬৫ বছরে খ্রিস্টানের সংখ্যা ৫.৩৮ % বেড়েছে। আবার মোট জনসংখ্যার নিরিখে ১৯৫০ সালে যেখানে ১.২৪ % শিখ ছিলেন, ২০১৫ সালে সেটাই বেড়ে ১.৮৫ % এ ঠেকেছে। অর্থাৎ ওই সময়ের শিখদের সংখ্যা বেড়েছে ৬.৫৮ %।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আর্থিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বৌদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশ বেড়েছে। মোট জনসংখ্যার নিরিখে ২০১৫ সালে যেখানে ০.০৫ % বৌদ্ধ ছিলেন, ২০১৫ সালে সেটা বেড়ে ০.৮১ % এ ঠেকেছে। তবে কমে গেছে জৈন এবং পার্সি জনসংখ্যা। ১৯৫০ সালে মোট জনসংখ্যার নিরিখে যথাক্রমে ০.৪৫ % এবং ০.০৩ % জৈন এবং পার্সি মানুষ ছিলেন, যা ২০১৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ০.৩৬ % এবং ০.০০৪ % এ।