স্টাফ রিপোর্টার: যশোর খুহনাসহ দেশের বাজারে পেঁয়াজ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ না ঘুরতেই দাম সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে সরকার পেঁয়াজ আমদানি করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

পেঁয়াজ আমদানির বিষয় নিয়ে- টিপু মুনশি বলেন, ফের পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। ঢাকা গিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে, দাম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হবে। আর দুই থেকে এক দিনের মধ্যে সরকার পেঁয়াজ আমদানি করবে। তিনি আরও বলেন, বারবার বলে আসছি দুই থেকে এক দিনের মধ্যে দাম না কমলে, পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার। এরপরও প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আমি ঢাকায় গিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে এই বিষয় নিয়ে কথা বলব।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে-একদিনের ব্যবধানে ১০-১৫ টাকা দাম বেড়ে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।

অভিযোগ রয়েছে, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকার সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। চাল ও আটার দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে ভোজ্যতেল, আদা ও ডিমের দাম। তবে দাম কিছুটা কমেছে মসুর ডাল, ব্রয়লার মুরগি ও চিনির। কাঁচা মরিচসহ বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়েছে। গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে মাছের। গতকাল নগরীর বিভিন্ন বাজার থেকে নিত্যপণ্যের দর দামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এছাড়া সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির তথ্যমতে, বাজারে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমদানি অনুমতি প্রদানে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। এ কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর সুযোগ নিতে পারছে। সামনে কোরবানির ঈদ রয়েছে। ওই সময় পেঁয়াজসহ সব ধরনের মসলাপাতির বাড়তি চাহিদা তৈরি হবে। কিন্তু এবার কোরবানির আগেই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ছে। এ অবস্থায় দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

বন্দর নগরীর সন্ধ্যা বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সবুর খান জানান, মোকামগুলোতে পেঁয়াজের আমদানি কম। পাইকারি মার্কেটে ভারতের পেঁয়াজ নেই। বরাবরই দেশী পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু আমদানি বন্ধ থাকার কারণে এখন দেশী পেঁয়াজই ভরসা। সামনে আরও দাম বাড়তে পারে এ কারণে এখন কৃষকরাও পেঁয়াজ ছাড়ছে না। এ অবস্থায় সংকট আরও বাড়ছে।

পেঁয়াজ কিনতে আসা শেখ সেলিম বলেন- রোজার ঈদের আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই পেঁয়াজ এখন ৮৫-৯০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। দ্রুত দাম কমাতে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।