আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামাবাদ যাওয়ার পথে ফের দুর্ঘটনার মুখে ইমরান খানের কনভয়। কনভয়ের একটি গাড়ি উল্টে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। তোষাখানা মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে ইসলামাবাদ যাচ্ছিলেন ইমরান। তখন এই কাণ্ড। এখানেই শেষ নয়। ইমরান লাহোরের বাড়ি থেকে বার হতেই তার পাঁচিল ভেঙে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ। গ্রেফতার করে ২০ জন পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ (পিটিআই) কর্মীকে।

ইমরান পুলিশের এই পদক্ষেপকে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জামান পার্কে আমার বাড়িতে আমার স্ত্রী বুশরা বিবি একা রয়েছেন। সে সময় পুলিশ ঢুকে পড়েছে। কোন আইনে তারা এ সব করছে?’’

সম্প্রতি ইমরানের বাড়ির সামনে পুলিশ আর পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের সংঘাত চলতে। ইমরানকে গ্রেফতার করতে চায় পুলিশ। তাতে বাধা দিচ্ছে তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকেরা। এই কারণে, দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। শনিবার সকালে ইমরান পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পরেই তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে পুলিশ। বাড়ির চত্বরেই দলীয় কর্মীদের শিবির তৈরি হয়েছিল। সেই শিবির উচ্ছেদ করাই পুলিশের লক্ষ্য।

ইমরানের বাড়ির গেট ভেঙে ঢোকার আগে পুলিশ ঘোষণা করে, ‘‘১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এই আবহে আপনারা জমায়েত করবেন না।’’ কয়েকটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ঘোষণার পরেই বুলডোজার দিয়ে ইমরানের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে পুলিশ। বেশ কয়েক জন পিটিআই কর্মীকে আটক করে। পুলিশের অভিযোগ, পিটিআই কর্মীরা তাদের উদ্দেশে পেট্রল বোমা ছোড়ে। গুলিও চালায়।

সংঘাতের আবহে শুক্রবার পিটিআই কর্মী এবং পুলিশ নিজেদের মধ্যে একটি চুক্তি করে। লাহোর হাই কোর্টে সেই চুক্তি জমা করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, পিটিআই কর্মীদের মিছিল, সমাবেশ করার অনুমতি দেবে পুলিশ। পাল্টা পুলিশকে তল্লাশি অভিযানে সাহায্য করবেন পিটিআই কর্মীরা। দু’পক্ষই সায় দিয়েছে তাতে। যদিও তার পরেও শনিবার সকালে ইমরানের বাড়িতে ঢোকার সময় পুলিশে অভিযোগ, তারা আক্রান্ত হয়েছে।

এ দিকে, শনিবার তোষাখানা মামলার শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন ইমরান। তখনই তাঁর কনভয়ের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় যে দামি উপহার পেয়েছিলেন, তা পরে কম দামে কিনে নিয়েছিলেন তিনি। ইমরান অভিযোগ অস্বীকার করে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রই দেখছেন। একটি টুইট করে লিখেছেন, ‘‘সব মামলায় জামিন পাওয়ার পরেও পিডিএম সরকার আমাকে গ্রেফতার করতে চায়। আমি তাদের দুরভিসন্ধি জানার পরেও ইসলামাবাদে যাচ্ছি। কারণ আমি আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। তবে ওদের দুরভিসন্ধি সকলের বোঝা উচিত।’’