বিল্লাল হোসেন, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের নিঝুরী বনরুপা আদর্শ গ্রামে একই জমির মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশংকা করা হচ্ছে।

জানা যায়, নিঝুরী বনরুপা আদর্শগ্রামে বরাদী মৌজার সাবেক (৩৪,৮৩ দাগে ৫৬ শতাংশ) জমি উপজেলার বান্দিয়া গ্রামের মৃত: সুবেদালী ফকিরের ছেলে আলী মুউদ্দীন ফকিরের নামে সরকার বন্দোবস্ত দেয়। ওই বন্দোবস্তকৃত জমিতে সরকার থাকার জন্য একটি টিনস্টে ঘর নির্মাণ করে দেন। ঘর নির্মার পর আলী মুউদ্দীন তার ফুফু জহুরা খাতুনকে ওই ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে দিন মুজ আলী মুউদ্দীন ফকির তার সংসার চালানোর তাগিতে ঢাকায় দিন মুজু কাজ করতে যান। ওই ঘরে তার ফুফুকে রেখে যান। সেই সুবাদে সাহেদালী নিজ নামে জমিটুকুর বি. আর. এস রেকর্ড করে নেন। পরবর্তীতে আলী মুউদ্দীন ফকিরের বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য তার ফুফু জহুরা খাতুন ও ফুফা সাহেদালী ময়মনসিংহ জেলা প্রসাশক বরাবরে আবেদন করেন। অপর দিকে একই ভূমি আলীমুউদ্দীন ফকির জমাখারিজ করে নেয়। এদিকে ওই জমি আলীমুউদ্দীনের বন্দোবস্ত বাতিল করে জহুরা খাতুন তার নামে বন্দোবস্ত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

ভুক্তভোগে আলীমুদ্দিন ফকির জানান, সরকার জমি ও ঘর দেওয়ার পর বেশ কিছু দিন আমি ওই ঘরে থাকার পর আমার সংসারের চাহিদা থাকায় আমি আমার স্ত্রীকে তার বাপের বাড়িতে রেখে আমার সুদর ফুফুসহ ফুফু জহুরা খাতুন ও ফুফা সাহেদালীকে সরকারের দেওয়া ওই ঘরে রাখিয়া আমি ঢাকাতে দিনমুজুরের কাজ করতে যাই। এ সুবাদে আমার ফুফা সাহেদালী নিজ নামে জমিটুকুর বি. আর. এস রেকর্ড করে নেন। এদিকে সাহেদালীর রেকর্ডীয় নিজ প্রকৃত বাড়ির চিত্র।

বনরুপা আদর্শগ্রামে ২০ সদস্যে ঘটিত কমিটির বর্তমান সভাপতি আব্দুল মোতালেব জানান, সর্ব প্রথম সরকার বন্দবস্ত দেয়। ২০ পরিবারকে জমি ও একটি ঘর নির্মাণ করে দেন। ২০ ঘরের মধ্যে আলী মুউদ্দীন ফকিরও একজন ছিলেন। পরে ওই ঘরে আলী মুউদ্দীনের সুদের ফুফু জহুরা খাতুন থাকতেন।

মেদুয়ারী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকতা আমিনুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই এবং আমার অফিসে বাতিল হয়েছে এ দরণের কোনো কাগজপত্র এখনো আসেনি।

ভালুকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ হিল বাকীউল বারী জানান, এ ব্যাপারে মেদুয়ারী ইউনিয়ন তসিলদারকে উভয় পক্ষের কাগজপত্র উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।