খেলাধুলা | তারিখঃ ডিসেম্বর ১৮, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2415 বার
৩৬ বছর ট্রফি আর্জেন্টিনার, দুর্দান্ত ম্যাচের অবসান হল টাইব্রেকারে। ৪-২ ব্যবধানে টাইব্রেকারে জিতে বিশ্বকাপ নিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও ট্র্যাজিক হিরো থাকতে হল এমবাপেকে।
টাইব্রেকারে আবার মিস ফ্রান্সের !
চুয়ামেনির শট বাইরে, পোস্টের বাইরে মারলেন চুয়ামেনি।
১১৯ মিনিট। গোওওওওওওওওওল
এর থেকে ভাল বিশ্বকাপ ফাইনাল আর হতে পারে? অতিরিক্ত সময়ে পিছিয়ে গিয়েও সমতা ফেরাল ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে গোল করলেন এমবাপে। বিপক্ষ গোলকিপার এমিলিয়ানোর কিছু করার ছিল না।
পেনাল্টি পেল ফ্রান্স
এমবাপের শট আটকাতে গিয়ে বক্সের মধ্যেই বল হাতে লাগালেন মন্তিয়েল।
দুরন্ত আক্রমণে গোল দিলেন মেসি। লাউতারো মার্তিনেসের শট দারুণ ভাবে বাঁচিয়ে দিলেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না। ফিরতি বল মেসির হাঁটুতে লেগে গোলে ঢুকে গেল। বিশ্বকাপের ফাইনালে জোড়া গোল হয়ে গেল মেসির।
গোলের একের পর এক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ আর্জেন্টিনা ! এখনও খেলার ফল ২-২ ৷ এক্সট্রা টাইমের প্রথমার্ধের খেলা শেষ ৷
জোড়া আক্রমণ আর্জেন্টিনার
হঠাৎই জেগে উঠল আর্জেন্টিনা। প্রথমে লাউতারোর শট বাঁচালেন ফরাসি ডিফেন্ডার। পর ক্ষণেই ম্যাক অ্যালিস্টারের শট হেড করে উড়িয়ে দিলেন ভারানে।
চাপ নিয়ে নামল আর্জেন্টিনা
শেষ মুহূর্তে দু’টি গোল পেয়ে যাওয়ায় অনেক বেশি উৎসাহ নিয়ে খেলতে নেমেছে ফ্রান্স। উল্টো দিকে, আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস কিছুটা কম লাগছে। শেষ বেলায় দু’টি গোল খেয়ে যাওয়া অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না।
দুর্ধর্ষ এমবাপে ! এক্সট্রা টাইমের খেলা শুরু হল ৷
ম্যাচ আরও ৩০ মিনিট
নির্ধারিত সময়ে আর কোনও গোল হল না। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। শেষ ১০ মিনিটে একের পর এক আক্রমণ দেখা গেল ফ্রান্সের। আরও একটি গোল করতে পারত তারা।
ম্যাচের ৮০ ও ৮১ মিনিটে দুটি গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরালেন কিলিয়ান এমবাপে ৷
অসাধারণ কামব্যাক ফ্রান্সের ! পরপর দুটি গোল এমবাপের ৷ প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল ৷ তার কিছু সময়ের মধ্যেই দ্বিতীয় গোল ফরাসি তারকার ৷ ম্যাচে সমতায় ফিরল ফ্রান্স ৷
৯০+৪ মিনিট
আবার আক্রমণ করেছিল ফ্রান্স। এ বার বাঁ দিক থেকে আক্রমণে ঢুকেছিলেন কিংসলে কোমান। পাস দিয়েছিলেন এমবাপে। সেখান থেকে বল পেয়ে হাঁবিয়ের শট বাঁচিয়ে দিলেন এমিলিয়ানো। শেষ বেলায় এসে অসাধারণ খেলা দেখাচ্ছে ফ্রান্স।
শেষ বেলায় কি নায়ক এমবাপে?
গোটা ম্য়াচে তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। শেষ বেলায় এসে কি সব হিসাব পাল্টে দেবেন এমবাপে? দ্বিতীয় গোলটি দেখে সেটা মনে হতে বাধ্য। হাঁবিয়ের পাস পেয়ে যে ভাবে শরীর নিয়ন্ত্রণে রেখে বল মাটিতে পড়তে না দিয়ে শট করলেন, তা দেখে বোঝাই গিয়েছে, তিনিই পরবর্তী প্রজন্মের নায়ক হওয়ার অধিকারী। সে তিনি শেষ পর্যন্ত কাপ জিতুন বা না-ই জিতুন।
দুর্ধর্ষ এমবাপে
ফাইনালের শেষ প্রান্তে এসে মাতিয়ে দিলেন এমবাপে। দু’মিনিটে দু’টি গোল করলেন তিনি। প্রথমে ফ্রান্সের আক্রমণের সময় বক্সের মধ্যে হাঁটু দিয়ে কোলো মুয়ানিকে মারেন ওটামেন্ডি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপের। পরের মুহূর্তেই আবার আক্রমণ করে ফ্রান্স। ডান দিক থেকে এমবাপেকে লম্বা বল বাড়িয়েছিলেন কোমান। হাঁবিয়ের সঙ্গে দ্রুত পাস খেলে মাটিতে পড়ে যেতে যেতে অনবদ্য শটে গোল করলেন।
৭৫ মিনিট
ফ্রান্স কতটা বিভ্রান্ত সেটা তাদের খেলা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে গিয়ে বল বাইরেই বের করে দিলেন ফুটবলাররা। নিজেদের মধ্যে কোনও বোঝাপড়াই নেই তাদের। নিয়ন্ত্রণে থাকা বলও হারিয়ে ফেলল তারা।
৬৪ মিনিট। উঠিয়ে নেওয়া হল দি মারিয়াকে
মাঠে মেসির থেকেও বেশি নজরে পড়ল দি মারিয়াকে। গোটা দলটাকে তিনিই খেলালেন। উইং থেকে একের পর এক আক্রমণ তৈরি করলেন। দি মারিয়ার বদলে নামলেন আকুনা।
ফ্রান্সের খেলায় নেই কোনও তেজ
সাম্প্রতিক কালে এতটা একপেশে ফাইনাল আর কখনও হয়নি। বোঝাই যাচ্ছে ফ্রান্সের ফুটবলাররা ফিট নন। ম্যাচের শেষে হয়তো কোচ দেশঁকে বলতে শোনা যাবে ভাইরাসের কারণেই তাঁরা খেলতে পারেননি। কিন্তু ফ্রান্সের খেলা এতটাই বিরক্তিকর যে সেই অজুহাতও হাস্যকর শোনাবে।
৫৫ মিনিট
ফ্রান্সের খেলা এতটাই খারাপ হচ্ছে যে, আর্জেন্টিনার গোলকিপারও প্রায় মাঝমাঠ পর্যন্ত উঠে আসার সাহস দেখাচ্ছেন। একটু আগেই তিনি প্রায় মাঝমাঠে উঠে এসে একটি বল ক্লিয়ার করলেন। ধারেকাছে ফ্রান্সের কোনও ফুটবলার নেই। তার আগে কর্নারও কাজে লাগাতে পারলেন না ফ্রান্সের কোনও ফুটবলার।
৫০ মিনিট
মেসি না হলেও, এই ম্যাচে সেরার পুরস্কার প্রাপ্য দি মারিয়ার। একটি পেনাল্টি আদায় করেছেন, একটি গোল করেছেন। আর একটি অ্যাসিস্টের কাছাকাছি চলে এসেছিলেন তিনি। উইং দিয়ে আক্রমণ করে একাই ফ্রান্সের জারিজুরি শেষ করে দিচ্ছেন।
বিরতি। আর্জেন্টিনা এগিয়ে ২-০ গোলে
প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হল না। মেসি এবং দি মারিয়ার গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে ২-০ গোলে।
খিদের অভাব ফ্রান্সের খেলায়
এই বিশ্বকাপে খেলা ফ্রান্সের অধিকাংশ ফুটবলারই গত বার বিশ্বকাপ পেয়েছেন। ফলে তাঁদের খেলার মধ্যে এখনও সেই খিদে দেখা যায়নি। উল্টো দিকে, আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা এতটাই তরতাজা হয়ে নেমেছেন ট্রফি জেতার জন্য, সেটা তাঁদের খেলা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
দলকে খেলাচ্ছেন একা মেসিই
এই ম্যাচের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। যখনই বল আসছে, তিনি কোনও না কোনও ভাবে সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। দেখে নিচ্ছেন কোথায় কোন সতীর্থ রয়েছেন। সামান্যতম ফাঁক পেলেই পাস বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এমবাপে সে তুলনায় অনেক ম্রিয়মান। তাঁকে কড়া মার্কিংয়ে রেখেছেন ডিফেন্ডাররা। এমনকি, এমবাপেকে যিনি বল জোগান, সেই গ্রিজম্যানের সঙ্গে তাঁর সংযোগও কেটে দেওয়া হয়েছে।
দেশঁর সিদ্ধান্তে প্রশ্ন
প্রথমার্ধ প্রায় শেষ হতে চলল। এখনও পর্যন্ত ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া যায়নি ফ্রান্সকে। বিরতির আগেই তুলে নেওয়া হল জিহু এবং দেম্বেলেকে। প্রশ্ন উঠছে, অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও ফুটবলারদের জোর করে নামিয়ে দেননি তো দেশঁ?
৩৬ মিনিট। গোওওওওওওওওওওওওওওওওওওওল
২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। গোল করলেন দি মারিয়া। সোনার পাস বাড়ালেন মেসি। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়েছিলেন মেসি। তিনি ডিফেন্সচেরা পাস বাড়ালেন ম্যাক অ্যালিস্টারকে। তাঁর থেকে পাস পেয়ে চলতি বলে শট নিয়ে গোল করলেন দি মারিয়া।
মেসির জোড়া নজির
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান রাখলেন মেসি। ১২টি গোল করলেন। ৮টি অ্যাসিস্ট রয়েছে। মোট ২০টি। এ ছাড়া, প্রথম ফুটবলার হিসাবে গ্রুপ পর্ব, প্রি-কোয়ার্টার, কোয়ার্টার, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে গোল করলেন।
৩০ মিনিট
গোল করে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণ করছে তারা। ফ্রান্স পায়ে সে ভাবে বল রাখতেই পারছে না।
২৩ মিনিট। গোল
পেনাল্টি থেকে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিলেন মেসি। হুগো লরিস ঝাঁপালেন ডান দিকে। মেসি পেনাল্টি মারলেন বাঁ দিকে।
২০ মিনিট। সুযোগ নষ্ট ফ্রান্সের
বক্সের কোনাকুনি সামান্য় বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের ফ্রিকিকে জিহুর হেড বাইরে গেল। তবে গোল হলেও ফাউল হত।
২০ মিনিট। সুযোগ নষ্ট ফ্রান্সের
বক্সের কোনাকুনি সামান্য় বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের ফ্রিকিকে জিহুর হেড বাইরে গেল। তবে গোল হলেও ফাউল হত।
১৭ মিনিট। সুযোগ নষ্ট আর্জেন্টিনার
আক্রমণাত্মক খেলছে আর্জেন্টিনা। বরং অনেক বেশি নিজেদের রক্ষণাত্মক খোলসে মুড়ে রেখেছে ফ্রান্স। এমবাপের একটি আক্রমণ বাদে আর কোনও মুভমেন্ট দেখা যায়নি তাদের। দুরন্ত সুযোগ পেয়েছিলেন দি মারিয়া। কিন্তু তাঁর ডান পায়ের শট বারের অনেক উপর দিয়ে বেরিয়ে গেল।
১৫ মিনিট
আক্রমণাত্মক খেলছে আর্জেন্টিনা। বরং অনেক বেশি নিজেদের রক্ষণাত্মক খোলসে মুড়ে রেখেছে ফ্রান্স। এমবাপের একটি আক্রমণ বাদে আর কোনও মুভমেন্ট দেখা যায়নি তাদের।
১০ মিনিট
একটা সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে কর্নার প্রতিহত হয়ে গেল। মেসি আটকে গেলেন বিপক্ষের রক্ষণে। নিয়ন্ত্রণ আর্জেন্টিনার পায়েই।
৫ মিনিট
ম্যাচের প্রথম শট ম্যাক অ্যালিস্টারের। সরাসরি গোলকিপারের হাতে। প্রথমে দু’দলই একে অপরকে মেপে নেওয়ার চেষ্টা করছে।