জেলার খবর, ঢাকা বিভাগ, ফরিদপুর | তারিখঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2128 বার
সনতচক্রবর্ত্তী : ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন মাঠে এখন সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। অগ্রহায়ণের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল।
সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে যেমন মাঠ, তেমনি বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে হাসি। যেন সরিষার হলুদ হাসিতে স্বপ্ন দেখছে কৃষক। উপজেলার মাঠে মাঠে ছেয়ে গেছে সরিষার ক্ষেত। সবুজের আগায় ভরা হলুদে সরিষে ফুলে মৌমাছির ঘুরপাক খাচ্ছে। বাতাসে দুলছে সরিষা ফুল, হাসছে কৃষক। বাম্পার ফলন হওযায় বেজায় খুশি কৃষকের মন।
জেলার বোয়ালমারী,আলফাডাঙ্গা, মধুখালি, সালথা, নগরকান্দা, চরভাদ্রাশন,সদরপুর, ভাঙ্গা সালথাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠে এখন সরিষার হলুদ রঙের ফুলের সমারোহ। যেন হলুদ রঙের সুষমা শোভা পাচ্ছে দিকে দিকে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলা সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায়ই সরিষা উৎপন্ন হয়। সবচেয়ে বেশি সরিষা উৎপন্ন হয় বোয়ালমারী উপজেলায়। গত মৌসুমে ফরিদপুরে ৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়। জেলার চাষিরা বারি-১৪, বিনা-১৬, বিনা-৪, বিনা-৯ জাতের সরিষা চাষ করেন। বীজ বপন থেকে শুরু করে এ ফসলে সময় লাগে ৮০-৯০ দিন। চলতি অর্থবছরে পুরো জেলায় ১২ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে।
চলতি মৌসুমে জেলায় উন্নত জাতের সরিষা চাষ হচ্ছে। বেড়ে ওঠা গাছ আর ফুল দেখে বেশি ফলনের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার কৃষকরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবারও সরিষা চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর প্রত্যেক চাষি বেশি মুনাফা লাভ করবে। চাষকৃত সরিষার বেশির ভাগই ফুল এসে গেছে এদিকে চলমান ঘন কুয়াশা বেশি দিন স্থায়ী হলে সরিষার ফলনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে শীতের স্থায়িত্ব কমে আসে তাহলে আবাদে কোনো প্রভাব পড়বে না। সরিষা রোপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। এ সরিষা উঠিয়ে আবার বোরো আবাদ চাষ করা যায় বলে একে কৃষকরা ‘লাভের ফসল’ হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।
জেলা কৃষি উপপরিচালক জিয়াউল হক বলেন , সম্পূরক রবি শস্য হিসেবে সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সরিষা বীজ প্রদান করা হয়েছে। এরই মধ্যে চাষকৃত সরিষার বেশির ভাগেই ফুল এসে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।