জেলার খবর, ঢাকা বিভাগ, ফরিদপুর | তারিখঃ নভেম্বর ১৯, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1971 বার
সনতচক্রবর্ত্তী: শীতে ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা কমেছে। বাড়ছে ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, চর্মরোগসহ শীতকালীন নানা ধরনের রোগ। ফলে হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ ভিড় বেড়েছে রোগীদের।
শুক্রবার ও শনিবার (১৮, ১৯নভেম্বর ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সেসহ, প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিকে গিয়ে রোগীদের ভিড় দেখা যায়। ডাক্তার উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
রোগী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সাধারণত যেসব রোগ দেখা দেয়, সেসব রোগীই তুলনামূলকভাবে বেশি। ঠান্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা শীতের কারণে বেড়েছে দ্বিগুণ। শীতের কারণে সকালের দিকে রোগীর সংখ্যা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন ডাক্তারের চেম্বারের সামনে দীর্ঘ লাইন। কোনো চেয়ার ফাঁকা নেই। অনেকে আবার দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এখানে চিকিৎসার জন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় থেকে এসেছেন বহু রোগী। কথা হয় রুপাপাত থেকে আসা ৩৫ বছর বয়সী শিরিন বাশারের সাথে ।তিনি বলেন বাচ্চার কয়েক দিন ধরে, ঠান্ডা জ্বর, বমি তাই বাধ্য হয়ে এখানে এসেছি চিকিৎসা নিতে ।
ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন সেতু আক্তার। শীত আসলেই সমস্যাটা তার বেড়ে যায়। ডাক্তার দেখানো ছাড়া উপায় নেই । সমস্যার কথা তুলে ধরে সেতু বলেন, পানিতে হাত দিলেই ঠান্ডা লেগে যায়। তার ওপর এখন শীতও বেড়ে গেছে। তাই গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডাটা একটু বেশি লেগেছে। আর কমছে না। ওষুধ খেলাম, ভালো হয়নি। এজন্য এখানে ভালো ডাক্তার দেখাতে আসলাম।
শীতের মৌসুমে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন প্রায় সব বয়সী মানুষই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে এ ধরনের সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী আসলেও এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ জনের মতো।
বোয়ালমারী উপজেলার স্বাস্থ কমপ্লেক্সে এর সামনে ওষুধ কিনতে আসা উজ্জ্বল মোল্লার কথা হয়, নিজের সমস্যার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়েছি। কিন্তু ঠান্ডা ভালো হয়নি।গতকাল বোয়ালমারী উপজেলার স্বাস্থ কমপ্লেক্সে থেকে ডাক্তার দেখিয়েছি।আজ ঔষধ কিনতে এসেছি।
শীতজনিত রোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বোয়ালমারী উপজেলার স্বাস্থ কমপ্লেক্সে প্রধান কর্মকর্তা মোঃ খালেদুর রহমান বলেন, শীতের কারণে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, এজমার রোগী বেড়ে গেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বায়ু দূষণসহ অসচেতনার ফলেইেএসব রোগ বেড়ে যায়। তিনি আরও বলেন প্রথমতো সচেতনতা দরকার। এছাড়া প্রাচীন যে পদ্ধতি যেমন গরম চা, আদা এসব খাওয়াও বেশ ভালো। সেইসঙ্গে ধূমপান না করা, মাস্ক পরাসহ ঠান্ডা লাগতে পারে এমন কিছু এড়িয়ে চললে এ ধরনের রোগী হ্রাস পাবে