সনতচক্রবর্ত্তী:ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কালামৃধা গ্ৰামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নবীন মাতুব্বর (১৫) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জায়গা জমি পরিমাপের সময় সালিশ বৈঠক চলাকালে ফারুক মাতুব্বরের ছেলে নবীন মাতুব্বরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।
কিশোর নবীন হত্যার প্রতিবাদে এ দিন বিকেলে উত্তেজিত গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, জমিজমা নিয়ে ফারুক মাতুব্বরের সঙ্গে মান্নান মাতুব্বরের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। বিষয়টি নিয়ে কালামৃধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিঠু মাতুব্বর উভয়কে মীমাংসার প্রস্তাব দিলে শনিবারে সকালে সালিশ বৈঠক শুরু হয়।
দুপুর গড়িয়ে সালিশ বৈঠক শেষ না হওয়ায় পরবর্তী শনিবার সালিশ বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়। সালিশ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কালামৃধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হক মাতুব্বর। সালিশের শেষ পর্যায়ে উভয় গ্রুপের লোকজন বাকবিতণ্ডায় জড়ান।
এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফারুক মাতুব্বরের ছেলে নবীন মাতুব্বরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষ। স্থানীয় জনতা নবীন মাতুব্বরকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে বিকেলে নবীনের মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, ফারুক মাতুব্বর ও মান্নান মাতুব্বরের জায়গাজমি সংক্রান্ত একটি সালিশ বৈঠক ছিল সকালে। সালিশের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় কিশোর নবীন মাতুব্বর দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বিকেলের দিকে সে মারা যায়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিহতের পরিবার থানায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।