জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ অক্টোবর ১৫, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 671 বার
ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (জিএফএস) চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি সুপার সাইক্লোন সৃষ্টি হতে যাচ্ছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। ২২ থেকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে এটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে চলছে নানা বিশ্নেষণ। ক্ষয়ক্ষতির দিক দিয়ে এই ঝড়টি সিডরের মতোই ভয়াবহ হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
তবে গত বৃহস্পতিবার দেয়া পূর্বাভাসে জিএফএস জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরইমধ্যে শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) স্থলভাগের কোন কোন এলাকায় আঘাত হানতে পারে সেই পূর্বাভাস দিয়েছে জিএফএস।
শুক্রবার দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান-নিকোবার দীপপুঞ্জ থেকে পশ্চিমদিকে ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মাঝামাঝি উপকূলের দিকে অগ্রসর হলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে উপকূলে আঘাত হানবে। কিন্তু এটি যদি আন্দামান-নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ থেকে উত্তর দিকে বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় এগিয়ে যায় এবং স্থলভাবে আঘাত হানে তবে সেটি অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানবে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি নির্ভর করবে এটি বাংলাদেশ নাকি ভারতের উপকূলে আঘাত করছে তার ওপর।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত মডেলগুলোর পূর্বাভাস নিয়মিত পরিবর্তন হতেই থাকবে। এমনকি এটি স্থলভাগে আঘাত করার ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্তও আঘাত হানার স্থান ও শক্তির ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে। তাই এ বিষয়ে আগে থেকে নির্দিষ্ট করে কোনো কিছু বলা খুবই কঠিন। অর্থাৎ এটি আসলে কতটা শক্তিশালী ঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে সেটি বলার সময় এখনও আসেনি। তবে ঝড়টির শক্তি কম নির্দেশ করছে সেটি অবশ্যই ভালো খবর।