ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে লিটার প্রতি সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয়েছে ১৪ টাকা। দাম কমানোর পর নতুন দাম লিটার প্রতি ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ভোজ্যতেলের দাম সরকার নির্ধারন করলেও ব্যবসায়ীরা কমাইনি। রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৯০ থেকে ১৯২, পাঁচ লিটারের বোতল ৯৩৫ থেকে ৯৪৫ এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রায় দেড় মাস ধরে এ দামে বোতলজাত ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে।

বুধবার সকাল ৯ টার দিকে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এলাকায় তেল কিনতে আসা সালাউদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, গত সোমবার তেলের দাম কমানো ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি লাগলেও এখনও নতুন দরের তেল পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ, নতুন দর কার্যকর হওয়ার কথা ছিল গত মঙ্গলবার থেকেই।

বেসরকারি চাকুরীজিবী বাধঁন বলেন, যখন শুনলাম তেলের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে তখন কিছুটা ভালো লেগেছে। কিন্তু বাজারে এসে দেখি আগের দামেই তেল কিনতে হচ্ছে। তাহলে দাম কি কাগজে কলমে কমানো হয়েছে? গণমাধ্যমেও তেলের দাম কমানো নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। আমাদের সাথে তামাশা করা হচ্ছে। তেল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলোর মধ্যে অন্যতম। রান্না কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় তেলের। তেলের দাম যতটুকুই কমোক না কেনো আমাদের জন্য স্বস্তির।

এদিকে রাজধানীর মহাখালী কাচাঁবাজারের মুদি ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, দাম কমানোর আগে কৌশলে ডিলারদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বেশি পরিমাণে তেল সরবরাহ করে কোম্পানিগুলো। এরপর হুট করে দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে বিপদে পড়ি আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত সোমবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন দাম কমানোর ঘোষণা দেনঅ ভোজ্যতেল মালিক সমিতির সদস্যরা বর্তমানে ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং এলসি খোলার জটিলতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল এবং টি কে গ্রুপের এমডি মোস্তফা হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে এবং এলসি খোলার জটিলতার বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা শেষে এবং ভোক্তাদের সুবিধার্থে ভোজ্যতেলের দাম ১৪ টাকা কমিয়ে ১৭৮ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।