জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ জুলাই ২৯, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3660 বার
ডেস্ক প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৫৫ জন। শুক্রবার (২৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার ৪ জনের মৃত্যু এবং ৬১৮ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৬ হাজার ৮৩টি নমুনা। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু এবং ৩৫৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। সুস্থ হয়েছেন ৬৯৬ জন। নতুন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৪৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ২৮৫ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৯ জন।
চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ২১ হাজার ৫১৩ জন। এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮৬ জন। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৯১ জন। এতে করে বিশ্বে মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৪ লাখ ১৪ হাজার ২৫৩ জনের। শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ২৫৯ জনের এবং শনাক্ত হয়েছে ৯২ হাজার ২৬৩ জনের। একই সময়ে ব্রাজিলে আক্রান্ত ৪৫ হাজার ৩০৭ জন এবং মৃত ২৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত ৬০ হাজার ৩৮১ জন এবং মৃত্যু ১৯৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে আক্রান্ত ২৩ হাজার ৯৭১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের। জাপানে মৃত ১২২ জন এবং আক্রান্ত ২ লাখ ৭ হাজার ২৩৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় মৃত ১২৫ জন এবং আক্রান্ত ৪৬ হাজার ৫৫৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৫১৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। একই সময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৯০২ জন এবং ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিলিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯৪৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে, একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।