জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ জুলাই ৯, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 5537 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আগামীকাল রোববার (১০ জুলাই)।
যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদুল আজহার জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। ঈদুল আজহার নামাজ ও পশু কোরবানির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বছর ঘুরে ফিরে এসেছে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। বাংলাদেশসহ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, ব্রুনাই ও পাকিস্তানে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে কাল। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।
ঈদের নামাজের পর পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে রবিবার শুরু হবে ঈদ উদযাপন। মহান আল্লাহর প্রতি প্রিয় বান্দা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র হজরত ইসমাঈলের (আ.) সীমাহীন ভক্তি, সর্বোচ্চ ত্যাগের সদিচ্ছা এবং গভীরতম আত্মসমর্পণে পরম করুণাময় সন্তুষ্ট হন এবং তিনি ইব্রাহিমকে (আ.) আত্মত্যাগ ও ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ পশু কুরবানি করার নির্দেশ দেন।
এ ঘটনার পর থেকে মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের প্রতীক হিসাবে পশু কোরবানি দিয়ে আসছেন। প্রতিবছর মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র হজের পরই দেওয়া হয় কোরবানি। পাঁচ দিন ধরে চলে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সৌদি আরবে আজ উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশেই আজ ঈদ উদযাপন হচ্ছে।
মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদুল আজহা। ইসলাম ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়।
কুরবানির মূল কথা হলো ত্যাগ। সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কুরবানি দিয়ে দরিদ্র প্রতিবেশীদের মধ্যে এর মাংস বিতরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।
স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আযহা উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে, প্রত্যেককে নিজ বাসা থেকে অযু করে ঈদগাহে এবং মসজিদে আসতে বলা হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে, ঈদগাহ ও মসজিদের অযুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ঈদের জামাতে অংশ নেয়ার সময় প্রত্যেককে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং কেউ ঈদগাহ বা মসজিদে রাখা টুপি বা জায়নামাজ ব্যবহার করতে পারবেন না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময়, সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং অবশ্যই এক সারি খালি রেখে নামাজের জন্য দাঁড়াতে হবে।”
নির্দেশনা বাস্তবায়নে করতে খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি এবং স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।এছাড়া, ঈদের দিন পশু কোরবানির জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করতেও, জনগণকে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।