নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বসু জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হতে চান।শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে এক সাক্ষাতকারে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ পদ প্রত্যাশী হয়েছেন প্রায় ডজন খানেক প্রার্থী। তবে তাদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বসু’র দলের নেতা-কর্মীদের কাছে আলাদা গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। স্থানীয় ও কেন্দ্রিয় যুবলীগের অনেকেই তাকে এ পদে দেখতে চান। বিশেষ করে জেলা যুবলীগের একটা বড় অংশ তাকে এ পদে পেতে চান। তারা নানাভাবে তার পক্ষে প্রচার প্রচারনা করছেন। বিগত দিনে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে তার অবদানের কথা এবং রাজনীতির মাঠে তার ত্যাগের কথা তুলে ধরছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ মে (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, নড়াইল জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১৯৯৫ সালের পর ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ সম্মেলনকে ঘিরে নড়াইলের যুবলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্যম ও উচ্ছাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকেই বড় দু’টি পদে প্রার্থীতা ঘোষনা দিয়েছেন। তাদের কেউ কেউ স্থানীয় ও কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের সাথে লবিং গ্রুপিং করছেন কাংখিত পদটি পেতে।

সাক্ষাতকারে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বসু জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করি। সকলের দোয়া ও আশীর্বাদে নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওয়ান ইলেভেন’র কঠিন দুর্দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা’র মুক্তি আন্দোলন করতে গিয়ে কারাবন্দী হয়েছিলাম। বলিষ্ঠতার সাথে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বিরোধী দলের রোষানলে পড়ে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। তারপরও সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছি। পূর্বাভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জেলা যুবলীগকে আরোও গতিশীল করতে তিনি জেলা যুবলীগের আসন্ন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী। রাজনীতির মাঠে স্বাচ্ছন্দ পথচলায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের দোয়া আর্শিবাদ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ সম্মেলনের মাধ্যমে সুযোগ্য নেতৃত্ব পেয়ে সুসংগঠিত হয়ে এগিয়ে যাবে নড়াইল জেলা আওয়ামী যুবলীগ এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নড়াইলে যুবলীগের সম্মেলন হোক স্মরণকালের সেরা রাজনৈতিক মিলনমেলা। এ সম্মেলনে রাজনৈতিক কর্মীদের ঢল নামুক, প্রতিযোগিতার নামে প্রতিহিংসা নয়, সৌহার্দ্য- ভ্রাতৃত্ব আর আদর্শের মেলবন্ধন হোক।

সৌমেন খুলনা আজম খান সরকারি কমার্স কলেজ থেকে বিএসএস (অনার্স, ব্যবস্থাপনা) এমএসএস শেষ করে খুলনা সিটি ল কলেজ থেকে এল.এলবিও শেষ করেছেন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, জেলা ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করে জেলা ও কেন্দ্রিয় পর্যায়ে ব্যাপক পরিচিত ও সুখ্যাতি অর্জন করেন সৌমেন। ছাত্রলীগে নেতৃত্ব দিয়ে দীর্ঘদিন যুবলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে আছেন। স্থানীয় ও কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিটি কর্মসূচীতে তার সরব উপস্থিতি জেলা ও কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের নজর কেড়েছে।
জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক বাবুল কুমার সাহা জানান,যুবলীগকে আরও গতিশীল করতে যোগ্য,দক্ষ,কর্মী বান্ধব নেতা দেখতে চাই।আশাকরি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যোগ্য নেতাকে দলের কান্ডারী হিসেবে নির্বাচিত করবেন।

নড়াইল জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট ইমদাদুল ইসলাম এমদাদ বলেন, জেলা যুবলীগে যোগ্য নেতৃত্ব আসলে দল উপকৃত হবে। যোগ্য নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই।